চলতি মৌসুমে হজ নিবন্ধনের সময় আরও বৃদ্ধির করার অনুরোধ জানিয়েছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব)।রোববার মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানকে এই অনুরোধ করেন হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন।
জানা যায়, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধনের কয়েক দফায় সময় বৃদ্ধি করেও সাড়া মেলেনি হজযাত্রীদের। নিবন্ধনের তৃতীয় দফার সময় শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়। এরপর আর সময় বৃদ্ধি করেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধন করেছে ৫৩ হাজার ১৭৩ জন।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী আসন ফাঁকা রয়েছে ৭৪ হাজার ২৫ জনের। আগ্রহী হজ যাত্রীদের নিবন্ধনের আরও কিছু সময় বাড়ানোর জন্য এই অনুরোধ করা হয়।
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন যুগান্তরকে বলেন, চলতি বছর হজ পালনের নিবন্ধন একটু আগ থেকেই শুরু হয়েছে। অনেক আগ্রহী হজযাত্রী নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধন করেনি। তাই নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর জন্য আমরা ধর্মমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয় এবং সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলছে না।
হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় গত বছর নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় ৮ বার সময় বাড়ানো হয়। এরপরও শেষ পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি কোটা ফেরত যায়। এখনও বাকি কোটার ৭৪ হাজার ২৫ জনের নিবন্ধন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এদিকে রোববার বিকালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুহাইলেন সাক্ষাৎ করেন। এরপর হজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এতে ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার ও হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম এবং হাব সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।