‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা’ স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি ২৬তম জাতীয় কবিতা উৎসব আয়োজিত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশে হাকিম চত্বরে এটি আয়োজন করছে জাতীয় কবিতা পরিষদ।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় উৎসব দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ড. মুহাম্মদ সামাদ।
লিখিত বক্তব্যে কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধোত্তর নানা সংকটকালে আমাদের কবিদের অবস্থান ছিল প্রগতির পক্ষে। স্বৈরাচার ও মৌলবাদবিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বাংলাদেশের কবি-লেখক- শিল্পী-প্রকাশক এবং মুক্তবুদ্ধির মানুষেরা সোচ্চার ছিলেন। আজ যখন পৃথিবীর দেশে দেশে অশুভ শক্তির দাপটে নিরপরাধ মানুষ বিপন্ন। নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষের মরদেহের স্তূপের ওপর ক্ষমতার অহমিকা দেখাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। তখন আমরা বাংলাদেশের কবিরা এবং আরও বেশ কয়েকটি দেশের কবি ও কবিতাপ্রেমীরা একত্রিত হয়ে এই উৎসবে যুদ্ধ ও গণহত্যাসহ সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করব।
তিনি বলেন, এ বছর আমাদের কবিতা উৎসবের মর্মবাণী ‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা’। দু’দিনব্যাপী উৎসবে কবিতাপাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে আমরা এই স্লোগানকে মূর্ত করে তুলব।
এই উৎসবে ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার’ প্রাপ্ত কবির নাম ঘোষণা করা হবে। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবিতা পরিষদের নেতা কাজল মান্নান, আসাদ মান্নানসহ প্রমুখ।