জেলায় ফেরি ডুবির ঘটনায় দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ এলেও ডুবে যাওয়া ফেরি দুটি উদ্ধার করতে পারবে কিনা এমন সংশয় রয়েছে। কখন বা কি নাগাদ আসবে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় এই বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক মো. শাহজাহান।
ডুবে যাওয়া ফেরির সন্ধান পাওয়া গেলেও কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক মো. শাহজাহান বলেন, ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধার ওজন হলো ২৮০ টন, তার মধ্যে এখনও আরও চার থেকে পাঁচটি ট্রাক আছে বলে আমরা মনে করছি। ফেরিটি ডুবে যাওয়ার পর বালু মাটি কাদা এবং কোনো ভারি জিনিস নিচে পরে গেলে তখন এর ওজন অনেকাংশেই বেড়ে দেড়গুণ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ফেরিটি উদ্ধারের জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যয় সকালে রওনা হয়েছে। হামজা, রুস্তম ও প্রত্যয় দিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরিটি উঠানোর জন্য চেষ্টা করব। যদি ফেরি ওপরে না তুলতে পারি ওই সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। সেই অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করব।
এছাড়া, এ ঘটনায় ২০ জন জীবিত উদ্ধার হলেও ডুবে যাওয়া ফেরির সহকারী মাস্টার এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে উদ্ধার কাজে সহায়তা করছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল।