ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ |

EN

পাঁচ বছরের ব্যবধানে কোনো পণ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ, কোনোটি আবার তিনগুণ

অর্থ ও বানিজ্য ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ১৮, ২০২৪

পাঁচ বছরের ব্যবধানে কোনো পণ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ, কোনোটি আবার তিনগুণ
পণ্যের দামে লাগাম টানাই নতুন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় ভোক্তাবান্ধব নীতি সহায়তা না নিলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয় বলে মত তাদের। আর ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা ক্যাব বলছে, ব্যবসায়ী বান্ধব নয়, বরং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।

নিত্যপণ্যের বাজারে ভোক্তাদের নিত্য হাহাকার। উচ্চমূল্যের যাঁতাকলে পিষ্ট নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ তথ্য বলছে, দুই অংকের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে নেমেছে এক অংকের ঘরে। তবুও বাজারে নেই তার কোনো প্রভাব। 

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ- টিসিবির হালনাগাদ তথ্য বলছে- প্যাকেট আটা কিনতে ভোক্তাদের গুণতে হচ্ছে ৬৫ টাকা। অথচ বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদের শুরুতে যে আটা পাওয়া যেতো ২৮ টাকা কেজিতে। একইভাবে ৯৫ টাকার সয়াবিন তেল কিনতে এখন গুনতে হচ্ছে ১৭০ টাকা। ডাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের মতো অনেক পণ্য কিনতেই ভোক্তাদের পকেট থেকে দ্বিগুণ-তিনগুণ অর্থ বেরিয়ে যাচ্ছে। 

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট কিছুটা পরিবর্তনের দিকে। তবুও পণ্যের দাম কেনো সহনীয় পর্যায়ে নেই? এমন প্রশ্নের উত্তরে বাজার বিশ্লেষক ও ক্যাবের কাছ থেকে মিলেছে মিশ্র জবাব। 

দীর্ঘমেয়াদে পণ্যের দাম কমাতে উৎপাদন খরচ কমানোর বিকল্প দেখছেন না বাজার বিশ্লেষকরা। একই সাথে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোকে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখার তাগিদ তাদের। 

রোজা সামনে রেখে তেল, চিনি, ছোলা, ডাল ও খেজুরের দাম যেনো নতুন করে না বাড়ে সেদিকে নজরদারির পরামর্শও দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।