প্রথম কর্মদিবসে নিজেদের অনুভূতি ও মন্ত্রণালয় নিয়ে কথা বলতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা গণমাধ্যমকে ডেকে কথা বলেছেন। তবে ব্যতিক্রম প্রথমবারের মতো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে রেলভবনে আসেন জিল্লুল হাকিম। এ সময় সাংবাদিকরা তার কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কোনো কথা বলেননি তিনি। সাংবাদিকদের এড়িয়ে গিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আর শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ-উদ-দৌলা খান সাংবাদিকদের সভাকক্ষে বসতে বললেও দীর্ঘ সময় পরও আর সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করেননি মন্ত্রী।
এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ-উদ-দৌলা খান বলেন, মন্ত্রী বরণ অনুষ্ঠানে আছেন। অফিস করছেন না।
এদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে রেলমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী শাকের জামানের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সাংবাদিকদের অপেক্ষা করার কথা জানালে তিনিও উত্তেজিত হয়ে জানান তারা মিটিংয়ে আছেন।
এর আগে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ-উদ-দৌলা খান রোববার (১৪) বেলা ১১টায় মন্ত্রী কথা বলবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান জিল্লুল হাকিম।
জিল্লুল হাকিম রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। মোট ছয়বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের প্রথম নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরের বার ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী নাসিরুল হক সাবুর কাছে হেরে যান তিনি। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নাসিরুল হক সাবুকে পরাজিত করে ফের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এ ছাড়া ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।