নারায়ণগঞ্জে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান এবং নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
বেসরকারি ফলাফলে তিনটি আসনে বিজয়ীদের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা যায়, এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে একেবারে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং কোথাও কোনো ধরনের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটনের। তবে লোটন নির্বাচন বর্জন করায় একেবারে সহজ জয় পান বাবু। হামলা ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে সংঘর্ষের ঘটনায় লোটনের ভাইসহ ১০ জন আটক ও ১০ জন গুলিবিদ্ধ হবার পর নির্বাচন বর্জন করেন লোটন।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মো. শরিফুল ইসলাম, জাকের পার্টির গোলাপ প্রতীকের মো. শাহজাহান ও তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ মার্কার মো. আবু হানিফ হৃদয়।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একতারা মার্কার মো. সেলিম আহমেদ, জাসদের মশাল মার্কা নিয়ে মো. ছৈয়দ হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব মার্কার মো. গোলাম মোর্শেদ রনি, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ মার্কার মো. আলী হোসেন, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল মার্কার মো. মুরাদ হোসেন জামাল, এনপিপির আম মার্কার মো. শহীদ উন নবী, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ার মার্কার মো. হাবিবুর রহমান।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ মার্কার মো. আব্দুল হামিদ ভাসানী ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একতারা মার্কার ছামছুল ইসলাম, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ার মার্কার এ এম এম একরামুল হক।