দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অধিকাংশ আসনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৷ সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বলেও দলটির সাধারণ সম্পাদক জানান ৷
রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সন্ধ্যায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ৷
ওবায়দুল কাদের স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সেই সঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ দেশের জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান৷
এ সময় কাদের দলের কর্মী-সমর্থকদের সংযত থাকতে এবং বিজয় মিছিল না করতেও নির্দেশ দেন৷
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি, যে তথ্য আসছে তাতে নিশ্চিত বলা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধিকাংশ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের পার্টির প্রধান শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, সরকারপ্রধান হয়েও স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায়। আজ সবাই তা প্রত্যক্ষ করেছেন। সর্বাত্মক সহযোগিতা করা, ফ্যাসিলিটেড করা, কো-অপারেশন দিয়ে শেখ হাসিনা যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই শেখ হাসিনার প্রতি। আমরা সবচেয়ে বেশি যাদের কাছে কৃতজ্ঞ তারা হলো বাংলাদেশের জনগণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে জনগণের বিজয়। জনগণ তাদের পছন্দমত প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে। ভোট প্রদানে কোনো প্রকার ভয়-ভীতি বা হস্তক্ষেপ হয়নি। এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে শক্তিশালী করবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ভোট বর্জন করলেও নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের বর্জন করেছে। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করতে হরতাল-অবরোধ দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় অতীতে হরতাল-অবরোধ দিয়েছে, সহিংসতা করেছে। অপরাজনীতির কুচক্রে তারা আটকে গেছে। এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গুজব-গুঞ্জন ও অপ্রপচারে-মিথ্যাচারে বিএনপি-জামায়াতের কোনো জুড়ি নেই ৷ তারা কথায় কথায় বলে তাদের হাজার হাজার লোক জেলের মধ্যে আছে। আমার প্রশ্ন এরা কেন জেলে আছে? তারা বলে ২৫ হাজার, এটা ২৫ হাজার হবে না। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি ৷ এ সংখ্যাটি তারা যা বলছে, তার অর্ধেকেরও কম। কিন্তু কী কারণে তারা জেলে গেছে? কেউ অপরাধ করলে পার পেয়ে যাবে? ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, পরে আত্মগোপন করেছিল বিচার থেকে রক্ষা পেতে, শাস্তি থেকে রক্ষা পেতে। কিন্তু তারা আবার মাঠে নেমেছে। তাদের পুরনো অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলে আছে। বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে। এই বিষয়টা পরিষ্কার করার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করি।