ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

জয়ী হতে সাংবাদিকদের ‘সহযোগিতা চান’ এমপি কমল।

কক্সবাজার প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, জানুয়ারী ৭, ২০২৪

জয়ী হতে সাংবাদিকদের ‘সহযোগিতা চান’ এমপি কমল।
কক্সবাজার-৩ আসনের নৌকা প্রার্থী ও সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ভোটে অনিয়ম করে জয়ী হতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান। সাংবাদিকদের মাঝে মোটা অংকের টাকা বিতরণ করে ভোট চলাকালীন রামুর উপজেলার দিকে না যাওয়ার অনুরোধ করেন এমপি কমল।

শনিবার রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা এলাকায় বিচ ভিউ নামে একটি হোটেলে সাংবাদিকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা বলে এমন আবদার করেন এমপি কমল। এ সময় নিজ হাতে সাংবাদিকের মাঝে টাকা বিতরণ করেন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড আলোচিত এ সংসদ।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের অনেকে। ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে কমলের এমন কর্মকাণ্ডে এলাকায় নতুন আলোচনার সৃষ্টি করে। 

কয়েকজন সাংবাদিক (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) জানান, সৌজন্য সাক্ষাতের কথা বলে শনিবার রাতে সাংবাদিকদের শহরের সুগন্ধা পয়েন্টের বীজ ভিউ হোটেলে ডেকে নেন এমপি কমল। এ সময় শতাধিক সাংবাদিকের হাতে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকার একটি করে প্যাকেট ধরিয়ে দেন। এর পর সব সাংবাদিককে রামু উপজেলার দিকে না যাওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় রামু উপজেলার সব কেন্দ্র দখল করে ভোট নেওয়ার ইঙ্গিত দেন এমপি কমল।  

এমপি কমল সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আমাকে আরেকবার নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ দিন। আমি আশা করব, আপনারা আমার উপজেলা রামুর দিকে কেউ যাবেন না। সাংবাদিকরা রামুর দিকে না গেলে নৌকায় বেশি ভোট কাস্টিং আমার জন্য সহজ হবে। আমি সেভাবে ব্যবস্থা করেছি। সেই প্রস্তুতি আমার রয়েছে। আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করব ইনশাআল্লাহ। 

এমপি বলেন, তবে আপনারা সদর ও ঈদগাঁও উপজেলার দিকে গেলে আমার আপত্তি নেই। এ সময় জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এ নিয়ে সাংবাদিকরা বিব্রত হলেও কেউ প্রতিবাদ করেননি। 

ঈগল মার্কা নিয়ে নির্বাচন করা স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের অভিযোগ রামু উপজেলার সব কেন্দ্র দখলে নেওয়ার জন্য সব চেষ্টাই করে যাচ্ছেন এমপি কমল। এ জন্য সব আয়োজন করে রেখেছেন তিনি। গত দুদিন ধরে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করার চেষ্টাও করে যাচ্ছেন তিনি। এর পরও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে জয়ের আশা করছেন ঈগল মার্কার প্রার্থী মিজান সাঈদ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।