এ মুহূর্তে বিএনপি নেতাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ভিসানীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে ঘোষণা ইতোপূর্বে দিয়েছে, তারা যদি তাদের কথায় অটল থাকে তবে এ মুহূর্তে বিএনপি নেতাদের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত। কারণ গণতন্ত্র ভুণ্ডুল করতে ভোটের আগের দিন ও ভোটের দিন তারা হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সিলেটের বাসভবনে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে সভা শেষে এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হাফিজ কমপ্লেক্সের বাসায় যায় মার্কিন পর্যবেক্ষক দল। পর্যবেক্ষক দলে ছিলেন এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র উপদেষ্টা জেওফ্রি ম্যাকডোনাল্ড, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাব ঘোষ ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডেভিড হোগস্ট্রা। প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে ফিরে যায় পর্যবেক্ষক দল।
বৈঠকের শুরুতেই কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনা হয়েছে অনেক বিষয়ে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো- তারা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশের বড় দুই দল আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে তিক্ততা কমানো যায় কীভাবে। এ বিষয়ে কী করা যেতে পারে সাজেশন চেয়েছেন তারা। তবে এটা আজকালই হতে হবে এমন না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ তিক্ততা কমাতে হলে দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন আর প্রোগ্রামভিত্তিক রাজনীতি প্রয়োজন; কিন্তু বিএনপি তো নেতৃত্বের সংকটের কারণে ভালো কোনো প্রোগ্রাম নিতে পারে না। তাদের শুধু দুটি দাবি- প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে আর নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। দুটি দাবিই অযৌক্তিক। কারণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো দেশেই কারণ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করার নজির নেই। অন্য দাবিটিতে সরকারের কিছু করার নেই, কারণ বিএনপির তৈরি করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে মামলা দিয়েছে সেই মামলাতেই তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত।