ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

যে নির্বাচনের দিকে দৃষ্টি এখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, জানুয়ারী ২, ২০২৪

যে নির্বাচনের দিকে দৃষ্টি এখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের

ফাইল ছবি

আগামী ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনের দিকে ঘনিষ্ঠ নজর রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। 

গত মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যখন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান তখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিপজ্জনক ইস্যু হলো তাইওয়ান। এক বছরের মধ্যে এটাই ছিল তাদের প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের মালিকানা দাবি করে বেইজিং। 

অন্যদিকে তাইওয়ান নিজেদেরকে স্বাধীন, সার্বভৌম হিসেবে দাবি করে। এ নিয়েই উত্তেজনা। আগামী ১৩ জানুয়ারি নির্বাচনে সেখানকার ভোটারদের রায়ের ওপর নির্ভর করবে এই উত্তেজনার পরিণতি কোন পথে যায়।

তাই এদিকে চীন যেমন নিবিড়ভাবে দৃষ্টি রেখেছে, যুক্তরাষ্ট্রও তাই। এই মুহূর্তে ক্ষমতাসীন সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিং-তে। তিনি ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী। 

ধারণা করা হচ্ছে, তিনি বিজয়ী হতে পারেন। যদি সেটাই হয়, তাহলে ক্ষিপ্ত হতে পারে বেইজিং। কারণ, তারা উইলিয়াম লাই চিং’কে স্বাধীনতাপন্থি ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে দেখে থাকে। তিনি নির্বাচিত হলে তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে তাইওয়ানের ভোটাররা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মেনে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে ওয়াশিংটন। 

এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রোরি ড্যানিয়েলস মনে করেন, নির্বাচনের ফল বলে দেবে এক্ষেত্রে কী চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। সেখানে যাতে চীনা কোনো সামরিক পদক্ষেপ না আসে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র যথাযথ রাজনৈতিক কোনো সিগন্যাল ব্যবহারের কথা বিবেচনা করতে পারে। 

২০১৬ সালে ডিপিপির সাই ইং-ওয়েনকে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন ভোটাররা তখন থেকেই তাইওয়ানের ওপর চাপ বৃদ্ধি করা শুরু করে বেইজিং। সব রকম আনুষ্ঠানিক সংলাপ বন্ধ করে দেয়। তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করে। তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল এমন অল্প সংখ্যক মিত্রকে বাগিয়ে এনে বেইজিংয়ের সঙ্গে জোড়া দেয়া হয়। 

অন্যদিকে চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক আছে যুক্তরাষ্ট্রের। তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় সমর্থকও যুক্তরাষ্ট্র। তারা তাইওয়ানকে সুরক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। গত আগস্টে তাইওয়ানের কাছে বহু লাখ ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে তারা তাইওয়ানের কাছে।

সূত্র: আলজাজিরা