ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪ |

EN

কালকিনিতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসতে শুরু করেছে নেতাকর্মীরা

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩

কালকিনিতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসতে শুরু করেছে নেতাকর্মীরা
মাদারীপুর জেলার কালকিনি জনসভায় আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা। আর কয়েক ঘণ্টা পরেই শুরু হচ্ছে জনসভা।

জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

দলে দলে নেতাকর্মীরা শনিবার(৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে জড়ো হচ্ছেন।  

জনসভার মাঠ সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। সড়কজুড়ে তোরণ ও আর ব্যানার পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে। জনসভায় শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোটবোন শেখ রেহানাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক থেকে জনসভার মাঠ, সবখানেই সাজ সাজ রব। ব্যানার, পোস্টার আর তোরণে ছেঁয়ে গেছে চারদিক। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ।  

প্রধানমন্ত্রীর আগমনে জেলায় মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর এই জনসভা দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তনে আরো ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের। তাইতো আনন্দে আত্মহারা সাধারণ মানুষ।

মাদারীপুর সদরের একাংশ, কালকিনি ও ডাসার উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-০৩ সংসদীয় আসন। এই আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট বাড়াতে এই জনসভা ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

নেতা-কর্মীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখার জন্য ভোরেই জনসভায় চলে এসেছি। কাছাকাছি থেকে বক্তৃতাও শুনতে চাই। রাজনীতির জীবনে প্রধানমন্ত্রী কালকিনি সফর আমাদের জন্য বড় পাওয়া।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যার আগমনে সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বাসিত। অধির আগ্রহ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কথা শোনার জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। শেখ হাসিনাকে কাছাকাছি থেকে দেখার জন্য অনেক বয়স্ক নেতাকর্মীরাও আসছেন মাঠে। সবকিছু মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলেন, বিকেল জনসভায় ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তার সাথে ছোটবোন শেখ রেহানাও থাকবেন। এই জনসভায় জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এরইমধ্যে দলীয় নেতাকর্মীরা মাঠে আসতে শুরু করেছে।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, জনসভা সফল করতে ব্যাপক নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি এসএসএফ, পিজিআর, এনএসআই, ডিজিএফআইসহ একাধিক সংস্থা নিয়োজিত রয়েছেন। ৫ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে জনসভার মাঠ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মাদারীপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮শ’ ৫৬ জন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের ৮ প্রার্থী। সড়ক পথে কালকিনিতে এসে জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। তার আগমনে এই মাঠে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।