Can't found in the image content. সংলাপে বসতে মিশর যাচ্ছেন হামাস প্রধান | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

সংলাপে বসতে মিশর যাচ্ছেন হামাস প্রধান

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩

সংলাপে বসতে মিশর যাচ্ছেন হামাস প্রধান
ফিলিস্তিনের গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির আবারও বসতে যাচ্ছে সংলাপ। কাতার ও মিশরের মধ্যস্ততায় অনুষ্ঠেয় এই সংলাপে অংশ নিতে আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) মিসর যাচ্ছেন হামাস চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াসহ শীর্ষ নেতারা। ধারণা করা হচ্ছে উভয়পক্ষ সম্মত হলে চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটতে পারে।  

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কায়রোতে হামাসের একটি উচ্চপর্যায়ে প্রতিনিধিদল এই সংলাপে অংশ নেবে এবং সেই দলটির নেতৃত্ব দেবেন হানিয়া। বৈঠকে মিসরের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আব্বাস কামেলসহ দেশটির উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিতি থাকবেন বলেও জানা গেছে।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও অভিযান বন্ধ করা, ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি, উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গত ১৫ বছরের অবরোধের অবসান এবং হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির শর্তে হামাস এই বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বলে এএফপিকে জানিয়েছে মিসরের একটি সূত্র।

এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলিদের মুক্ত করতে সোমবার ইউরোপে বৈঠক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আবদুলরহমান আল থানি ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান নির্বাহী ডেভিড বার্নিয়া এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক বিল বার্নস।

গতকাল এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধামন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে হামাসের হাতে থাকা সব জিম্মিকে মুক্ত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য এবং এক্ষেত্রে আমরা সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে তারা প্রস্তুত।

এর আগে টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলার পর কাতার ও মিশরের মধ্যস্ততায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ৭ দিনের অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং হামাস যোদ্ধারা। সেই বিরতির আলোচনাও হয়েছিল মিসরে এবং তাতে হামাসপ্রধান উপস্থিত ছিলেন। অস্থায়ী এই বিরতির সময় নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১১৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।  আর এই সময়সীমার মধ্যে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে।