কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ মারা গেছেন। ৮৬ বছর বয়সে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন এই শাসক।
খালিজ টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, কুয়েতের আমির-ই দেওয়ান তাদের শাসকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
কুয়েতের আমির-ই দেওয়ান একটি বিশেষ মন্ত্রণালয়। যার দায়িত্ব পালন করছেন শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুবারক আল সাবাহ। আমির শেখ নওয়াফ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ২৯ নভেম্বর কুয়েতের আমিরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও এক বিবৃতিতে আমিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। গণমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে কুয়েত রাজ্যের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহ-এর মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি।
শেখ নওয়াফ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহর মৃত্যুর পর কুয়েতের মসনদে কে বসবেন, সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে শেখ মেশাল আল আহমাদ আল জাবেরের নাম। ৮৩ বছর বয়সী শেখ মেশাল বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে পরিচিত। কুয়েতের শাসক হিসেবে দায়িত্ব নিতে তিনি প্রস্তুত।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কুয়েতের আমির হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন শেখ নওয়াফ। এর আগে দেশটির শাসক ছিলেন শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ (৯১)। তিনি ছিলেন শেখ নওয়াফের সৎ ভাই।
উল্লেখ্য, কুয়েতের সার্বভৌম ক্ষমতা শাসক আল সাবাহ পরিবারের হাতেই থাকে। ফলে তাদের স্বাস্থ্য দেশের জন্য সংবেদনশীল বিষয়। বিষয়গুলো নিয়ে সচরাচর আলোচনা হয় না।
এক নজরে শেখ নওয়াফ
২০০৬ সালে ক্রাউন প্রিন্স মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। সৎ ভাই শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-সাবাহ তাকে মনোনীত করেছিলেন। শেখ নওয়াফ কুয়েতের অভ্যন্তরীণ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শাসন ক্ষমতা হাতে নেওয়ার পর তাকে বিশেষভাবে সক্রিয় হিসেবে দেখা যায়নি।