কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ আপিল বিভাগে আবেদন করেও প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না। ঢাকায় নির্বাচন ভবনে শুক্রবার আপিল শুনানিতে ঋণখেলাপির দায়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চকরিয়া-পেকুয়া নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঋণখেলাপির তালিকায় নাম থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর পর সালাউদ্দিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থঋণ আদালত তাকে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে বাদ দেয়।
অর্থঋণ আদালতের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে জনতা ব্যাংক। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট অর্থঋণ আদালতের আদেশ স্থগিত করেন। সালাহউদ্দিন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। চেম্বার আদালতে তা শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন, যার শুনানি হয় বুধবার। ওই দিন সালাহউদ্দিন আহমেদের নাম ঋণখেলাপির তালিকাতেই রাখেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
সালাউদ্দিনের পক্ষে সেদিন শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। জনতা ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
শাহ মঞ্জুরুল পরে সাংবাদিকদের বলেন, এই আদেশের (আপিল বেঞ্চের) ফলে সালাহউদ্দিন আহমেদ ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন। তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।