সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের স্থাবর সম্পদের ঘর শূন্য থাকলেও ১৫ বছরে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৫ গুণেরও বেশি। এ সময়ে তার আয়ও বেড়েছে পৌনে চারগুণ।
২০০৮ সালের নবম ও ২০২৩ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া চয়ন ইসলামের হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় চয়ন ইসলামের অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে মোট ১৮ কোটি ৯৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫৬ টাকা। যেটা ২০০৮ সালে ছিল মোট ১ কোটি ২০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। তার নগদ টাকা ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১, ব্যাংকে জমা ১৭ কোটি ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫ টাকা, গাড়ির দাম ৭২ লাখ, স্বর্ণ ও মূল্যবান ধাতু-৩ লাখ ৫০ হাজার, ইলেকট্রিক সামগ্রী-১২ লাখ এবং আসবাবপত্র দেখানো হয়েছে ১৩ লাখ টাকার। আয় দেখানো হয়েছে ব্যবসা থেকে ২১ লাখ ৪২ হাজার ২১০ টাকা ও সম্মানী ভাতা ৯ লাখ টাকা।
নবম সংসদ নির্বাচনে চয়ন ইসলাম আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। সে বছর হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয় নগদ ৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ২০ হাজার টাকা, স্প্যারো এপারলেস লিমিটেডের শেয়ার ৬ লাখ ৬৫ হাজার ১০০ টাকা, ক্রাউন ওয়্যারসের ৯৭ লাখ ২৭ হাজার ৪০০ টাকা ও ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পূঁজি-১০ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা। তখন তার আয় দেখানো হয় ব্যবসা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও অন্যান্য ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
তবে দুটি হলফনামাতেই তার স্থাবর সম্পত্তির ঘরে প্রযোজ নহে লেখা রয়েছে।