ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

শীতের লোকজ ঐতিহ্য ও জীবনধারা

বিশেষ প্রতিবেদন ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৩

শীতের লোকজ ঐতিহ্য ও জীবনধারা
সকালে কুয়াশা ভেদ করে যখন পূব আকাশে সূর্যের উদয় হয় তখন শিশির বিন্দুগুলো ঝিকমিক করে।জনমনে প্রকৃতির এমন আবহ জানান দেয় চলছে শীতকাল। এমনিভাবে কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে আবির্ভূত হয় প্রতিটি শীতের সকাল। হিম মাখানো সকালে জড়সড় হাতে গরম চায়ের কাপ, দিনের শুরুটা এভাবেই হয়। আর বিকেল গড়াতেই মানুষ ভীড় জমায় পিঠার দোকানগুলোতে।শীতের এমন আদি জীবনধারা যেন শীতকালীন সংস্কৃতিতে রূপ নিয়েছে। শহরাঞ্চল থেকে গ্রামাঞ্চলে এখনো বহু জায়গায় পরম যত্নে পালিত হয় এমন লোকজধারা।

ঢাকার ধামরাইয়ে বিকেল গড়ালেই চোখে পড়বে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ও হাটবাজারে এমন পিঠা বিক্রির দৃশ্য।এসব দোকানে  বিচিত্র ধরনের পিঠা তৈরি করা আর তা আমোদ করে খাওয়ার কথা নাই বা বললাম।ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, তেলের পিঠা, ডিম পিঠা,চাপড়িসহ নানা স্বাদের পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে পিঠা বিক্রেতারা। আর এই পিঠার দোকানে পিঠার সাথে থাকছে নানা ধরনের ভর্তা। তাইতো কবি আহসান হাবীব লিখেছেন, ‘শীতের পিঠা, শীতের পিঠা/ ঝাল নোনতা বেজায় মিঠা/ পাটি সাপটা, চিতই ভাপা/ মালাই ঠাসা কিংবা ফাঁপা/ খেজুরের রসে হাবুডুবু/ মাখছে খালা, ভাজছে বুবু।তবে জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে দূরে থাকার কারণে অনেকেরই হয়তো এমন স্বাদ নেওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু চলার পথে রাস্তার মোড়ে মোড়েই দেখা মেলে নানান স্বাদের শীতের পিঠা। এসব পিঠার দোকান হাতের কাছে পাওয়ায় পিঠা প্রেমিরাও পিঠা খেতে এসব দোকানে ভিড় করেন। বিকেল হলেই দোকানিরা তাদের পসরা সাজিয়ে বসেন গভীর রাত পর্যন্ত। এরা বছরের অন্য সময় দিনমজুরের কাজ করেন আবার এদের মধ্যে কেউ কেউ এক সময় ছিলেন অবহেলিত কর্মহীন বেকার। শীত আসায় তাদের হাতে কাজ এসেছে তারা এখন পিঠা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে।

উপজেলা চত্বরে বসা পিঠা বিক্রেতা রহিমা বেগম জানান, বিভিন্ন ধরনের লোকজন এসে আমাদের কাছে পিঠা খায়। আমাদের এই পিঠা খেতে মানুষ পছন্দ করে। তাই ফুটপাত হলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখতে হয়। পিঠা বানিয়ে পরিস্কার পাত্রের মধ্যে রাখি, ভর্তাও রাখি ঢাকনাওয়ালা বাটিতে।প্রতিটি চিতই, ভাপা ও চাপড়ি পিঠা ১০ টাকা এবং ডিম চিতই একেকটি ৩০ টাকা রাখেন তিনি। আর এই পিঠা বিক্রি করে প্রতিদিন তার হাজার খানেক টাকা আয় হয় বলেও জানান তিনি।


কুমার সপ্তর্ষি রায়
সরকারি তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থী
akashroy20033@gmail.com
01306751663