বিএনপি ও তার দোসররাই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার যোগ্যতা অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায়, সেটি শুধু একমাত্র বিএনপি ও তার দোসরদের ওপর দিতে পারে। তারা এ নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমরা আমাদের সংবিধান মেনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি শান্তিপূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে নিষেধাজ্ঞা আসবে কেন? নিষেধাজ্ঞা এখন কম্বোডিয়ায় দিয়েছে, এটা তাদের ব্যাপার, কেন দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা এলে এখানে বিএনপির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসবে, যারা নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। আমেরিকা তো বলছে— যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসবে। সেটা হচ্ছে না কেন? তারা নাশকতা করছে, গাড়ি জ্বালাচ্ছে, ট্রেন পোড়াচ্ছে, মানুষ মারছে। এটাই তো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের বিরোধিতা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গার্মেন্টস সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছেন। এই সেক্টর উন্নয়নে, শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে আরও কিছু করার ব্যাপারেও সরকার অত্যন্ত যত্নশীল। কাজেই বিষয়টি নিয়ে পানি ঘোলা করার কারণ নেই।
জাতীয় পার্টি কি প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠতে পেরেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা জাতীয় পার্টিকে জিজ্ঞাসা করুন। তারা কী ভূমিকা রাখতে চায়। আমাদের সঙ্গে বসলে আমরা তাদের নীতি ও আদর্শ নিয়ে কথা বলি না।
স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৭ তারিখের আগে এ ব্যাপারে মন্তব্য না করাই ভালো।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে জেতার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে কথা বলবে। পাবলিকের সাপোর্ট নেওয়ার জন্য তো বিরুদ্ধে কথা বলবেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন সবসময় স্বাধীন। নির্বাচন কমিশনকে আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন পর্যন্ত আমরা তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাব। কোনো বাধাবিপত্তি, হুমকি, নাশকতা, সন্ত্রাস— এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা হতে পারে না। কারণ নির্বাচন কেন্দ্র করে এ দেশের জনগণ আজ নির্বাচনমুখী। নির্বাচনমুখী ভোটাররা যে কোনো উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। এতে যারা বাধা দেবে, কার্যক্রমের বিপত্তি সৃষ্টি করবে, তাদের দেশের ভোটাররাই প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, আজকে নির্বাচনে বিএনপি এবং তার সহযোগীরা অনেকে অংশ নেয়নি। তারপরও সারা দেশে একইভাবে নির্বাচনের তৎপরতা চলছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে।