নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে চাঁদপুর-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চাঁদপুর-২ এর চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় চাঁদপুর-২ এর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সশরীরে ও বা উপযুক্ত কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১-এ(৫)(এ) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম. ইসফাক আহসান আপনার (মায়া) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, গত ৩০ নভেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সমর্থক ও আশ্রয়কৃত সন্ত্রাসী বাহিনী নানাভাবে স্বতন্ত্র সমর্থক ও এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়ি-ঘরে হামলা করে ভাংচুর, মারধরসহ শারীরিকভাবে আহত করেছে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও লুটপাট করেছে। তারা হুমকি দিয়েছে যারাই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে।
গত ১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল ৪টায় প্রতিপক্ষ কলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোবান সরকার সুবা ৩০-৪০জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মোটরসাইকেল মহড়া দেয় এবং প্রার্থীর বাড়িতে প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করে। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করবে তাদের চোখ তুলে ফেলবেন এবং ঘর বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবেন বলেও হুমকি দেন।
এসব হুমকির একটি ভিডিও ক্লিপ মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেখানে প্রকাশ্য হুমকির বিষয়টি সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। ফলশ্রুতিতে বর্তমানে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। আপনার এসব কর্মকাণ্ড দ্বারা আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৭(গ) বিধি লঙ্ঘন করেছেন।
এতে সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮ এর ৭(গ) বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।