অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মধ্যে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে আগ্রাসনবাদী ইসরায়েল। অন্যদিকে হামাস ছেড়ে দিয়েছে ৮ ইসরায়েলি জিম্মিকে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিবিসি, এএফপি ও আল জাজিরার খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাদের হাতে জিম্মি থাকা ৮ ইসরায়েলিকে ছেড়ে দিলে কয়েক ঘণ্টা পর ওই ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। এদের মধ্যে ২৩ জন নাবালক ও সাতজন নারী।
এএফপির খবরে বলা হয়, ২৪ নভেম্বর দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৮০ ইসরায়েলি জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে দখলদার ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২৪০ ফিলিস্তিনি।
বছরের পর বছর ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করে হুইদী বসতি গড়ে তোলা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাস বহুদিন ধরে ক্ষুব্ধ ছিল। এর মধ্যে আল আকসা মসজিদসহ বিভিন্ন এলাকায় ফিলিস্তিনিদের হত্যা, চরম নির্যাতন ও দমন-পীড়নের জবাব দিতে ৭ অক্টোবর আকস্মিক ইসরায়েলে হামলা করে বসে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ২০০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে গেছেন হামাস যোদ্ধারা।
ওই আক্রমণের জবাব দিতে গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালাতে থাকে ইসরায়েলি বাহিনী। বেসামরিক স্থাপনা, এমনকি হাসপাতাল ও আশ্রয় কেন্দ্রেও চলতে থাকে তাদের বোমা হামলা। এতে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৬ হাজারই শিশু।
এই পরিস্থিতিতে গাজাকে ‘শিশুদের কবরস্থান’ বলে বর্ণনা করে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিতে থাকে। শেষ পর্যন্ত কাতারের মধ্যস্থতায় মিসর, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের সহায়তায় হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
প্রথমে চার দিনের যুদ্ধবিরতি হলেও পরে তা বাড়ানো হয়। বর্ধিত যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা। দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ সত্ত্বেও ইসরায়েল হুমকি দিয়ে আসছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়া মাত্রই তারা আবারও গাজায় হামলা চালাবে।