সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলছেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক কিছু অ্যাডজাস্ট করতে হয়। তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে একটি সত্য কথা বলতে চাই-এখানে অনেক সমস্যা আছে, যখন চেয়ারে বসবেন অনেক কিছু মোকাবিলা করতে হয়। এটা একটা চ্যালেঞ্জিং জব। এখানে আমরা কিছু কিছু বিষয় অ্যাডজাস্ট করি। আজ শনিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে পাসের জন্য প্রস্তাবিত মহাসড়ক বিল ২০২১-এর জনমত যাচাই প্রস্তাবের পর সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা তার বক্তব্যে সংসদে প্রণীত সড়ক পরিবহন বিল, ২০১৮’তে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের চাপে সংশোধন করে শাস্তি কমানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি এই সংশোধনীর উদ্যোগকে ছাত্রদের সঙ্গে প্রতারণা বলেও মন্তব্য করেন। এর জবাবে কাদের বলেন, সংসদে যেটা বলা হয়েছে তা মোটেও ঠিক নয়। আপনি আইনটির সংশোধিত রূপটি এখনো দেখেননি। এটা সংসদে আসেনি, ওয়েবসাইটে আছে। আইন শাখা এটা ইতোমধ্যে ভেটিং করেছে। তারপরও এটি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। আমরা মতামত নিচ্ছি।
সড়কে দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সড়কের দুর্ঘটনা বন্ধ শুধু সরকারের কাজ নয়। সবার সহযোগিতা দরকার। সাধারণরা আইন মানলেও আপনি ভিআইপি হয়ে রং সাইডে যেতে চান। সেখানে কী সড়রের শৃঙ্খলা থাকবে? মা শিশুকে কোলে নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে আইল্যান্ড ক্রস করছে। মোবাইল ফোন কানে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। দুর্ঘটনা হবে না? এ জন্য কী শুধু চালকরা দায়ী? বেপরোয়া ড্রাইভিং অবশ্যই দায়ী— আমি সেটা অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমরা জনগণ যারা রাস্তা ব্যবহার করি তারা সচেতন না। শুধু চালক নয়, পথচারীরাও বেপারোয়া হয়ে যায়। তিনি বলেন, রাস্তায় শৃঙ্খলার জন্য বিল আনা হয়েছে। ডিসিপ্লিন সড়কে দরকার, পরিবহনেও দরকার।