ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কলা অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের ৩৯ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে শতবর্ষ ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন।
বৃত্তিপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, এ জাতীয় বৃত্তি দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সফলতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং তারা লেখাপড়ায় উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হয়। শ্রেণিকক্ষে পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে দেশ-জাতির উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফাতেমা কাওসার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।
বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন- বাংলা বিভাগের মোছা. আদুরী আক্তার, মোছা. মৌটুসী মামুন ও সুমাইায়া খাতুন, ইংরেজি বিভাগের নাফিয়া রহমান মাটি, আরবি বিভাগের শায়খ ওবায়দুল্লাহ, মুন্তাসির আহমাদ মুয়াজ ও মাহমুদুল আহসান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের রীমা আক্তার ও রেজওয়ানা তাবাসসুম রাফা, উর্দু বিভাগের আরিফা সুলতানা রিপা ও রুহানি আফরিন, সংস্কৃত বিভাগের শিমু আক্তার ও মধু কুমার রায়, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের লক্ষ্মী রানী ও মো. আমিনুর রহমান, ইতিহাসে বিভাগের মিসুক চাকমা, মো. নাছিম ইমতিয়াজ নিশাদ ও সুলতানা জাহান রুমী, দর্শন বিভাগের রমজান, মো. জাকির হোসেন ও আরিফুল ইসলাম বাধান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাঈদা আফরিন সুমি, আবু হোরায়রা ও কানিজ ফাতেমা সুমি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. মুসফিকুর রহমান, আক্কাস আলী সাবিদ ও স্বর্ণালী, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. সোহানুর রহমান ও মো. হাসনাইন, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের নিকিতা আজম ও অরুণা সিক্ত সাচী, ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের ফজলে দাউদ হায়দার ও মো. শফিকুল ইসলাম, সংগীত বিভাগের প্রীতি রানী ও পার্থ সরকার, বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিখা রানী দাস ও মোছা. হোসনেয়ারা খাতুন, নৃত্যকলা বিভাগের রাশিদ সোবহান খনা ও সোনিয়া খাতুন।