শারীরিক অনুশীলন মেদ এবং ওজন কমিয়ে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনে ভালো থাকে রক্তপ্রবাহ।
এছাড়াও হার্ট, ফুসফুস, মস্তিষ্কও ভালো থাকে।
সুখকর ব্যাপার হলো, শারীরিক অনুশীলনের জন্য বিভিন্ন রকম উপায়ও আছে। ঘরে কিংবা বাইরে যে কোনো জায়গা, এমনকি ব্যায়ামের কোনো ধরনের যন্ত্র ছাড়াও অনুশীলন করা যায়।
প্রাত্যহিক জীবনের বিভিন্ন কাজের মধ্যেই অনুশীলন করা সম্ভব। যেমন, হাঁটার অভ্যাস করা।
স্বাস্থ্য ও শরীর ভালো রাখতে কয়েকটি কার্যকরী শারীরিক অনুশীলন বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
হাঁটার অভ্যাস: আপনার শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি কমাতে যে কোনো ধরনের শারীরিক অনুশীলনই কাজে আসবে। প্রত্যেকদিন ৩০ মিনিট হাঁটলে একজন মানুষের শরীরের ২০০ ক্যালরি ক্ষয় হয়। এটা ওজন কমানোর জন্য খুবই ভালো উপায়। এছাড়া হাঁটলে হার্ট ভালো থাকে। এর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন, হাঁটলে আপনার হাড় ও পেশী শক্তিশালী হবে, কর্মক্ষমতা ও সহনশীলতাও বাড়বে।
দৌড়ানো: যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য দৌড়ানো খুবই ভালো একটি পন্থা। গবেষকরা বলছেন, পূর্ণ গতিতে দৌড়ালে অনেক ক্যালরি ক্ষয় হয়। সাইকেল চালানো, সিঁড়ি আরোহনেও একই রকম উপকার হয়। ওজন কমাতে নিয়মিত দৌড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবারও খেতে হবে।
সাইকেল চালানো: শরীর ফিট রাখতে সাইকেল চালানো খুবই ভালো একটি অভ্যাস। সাইকেল চালানোর ব্যাপারটা সবসময়ী মানুষরাই উপভোগ করেন। গবেষকরা বলছেন, ২০ মিনিট সাইকেল চালালে ২০০ থেকে ৩০০ ক্যালরি ক্ষয় হয়। নিয়মিত সাইকেল চালালে আপনার শরীর যেমন ফিট থাকবে, একইভাবে ওজনও কমে যাবে।
সাঁতার কাটা: সাঁতার কাটা খুবই ভালো শারীরিক অনুশীলন। সাঁতার কাটার সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো এর ফলে পুরো শরীর একসঙ্গে কাজ করে। ওজন কমাতে নিয়মিত সাঁতার কাটা হতে পারে খুবই ভালো অনুশীলন। এছাড়াও এর ফলে হার্ট ভালো থাকে, পেশী শক্তিশালী হয়।
নাচ: নাচ যেমন আপনার দক্ষতা বা সৃজনশীলতা প্রকাশ করে তেমনি এটি খুবই ভালো শারীরিক অনুশীলন। নিয়মিত নাচলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। গবেষকরা বলছেন, নিয়মিত এক ঘণ্টা নাচলে ৪০০ ক্যালরি ক্ষয় হয়।