দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশ নেবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন সভাপতি শেখ হাসিনা।
৯টি দল জোট হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়।
বিএনপি শেখ হাসিনার অধিনে নির্বাচন করবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে। তারপরও কারও সঙ্গে জোট হয়ে নির্বাচনে আসবে কিনা, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আহ্বানে কোনো সাড়া দেয়নি দলটি।
গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পরদিন ৪৪টি নিবন্ধিত দলকেই জোটগতভাবে ভোট করলে আবেদন জানাতে চিঠি দেয় সংস্থাটি। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সেই সময় শেষে মোট দশটি দল ইসির আহ্বানে সাড়া দিয়েছে বলে জানা গেছে।
নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (ইনু), গণতন্ত্রী পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) ও জাতীয় পার্টি (রওশন এরশাদ) জোটে থেকে নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা নিজ দলের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নৌকা প্রতীক ব্যবহার করতে চেয়েছে।
এছাড়া বিএনপির সাবেক নেতাদের নিয়ে উজ্জীবিত দল তৃণমূল বিএনপিও জোট করবে বলে জানিয়েছে ইসি। প্রগতিশীল ইসলামী জোটকে নিজেদের প্রতীক সোনালী আশ দিতে চায় দলটি।
এক দফা দাবীতে আন্দোলনরত বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা দলগুলো জোট করবে কিনা, তা নিয়ে কিছু জানায়নি।
শনিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। এ সময় তিনি জানান, আজ জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। তারা সাতটি দলের আবেদন পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ বলেছে, তারা জোটবদ্ধভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচন করবে। সভাপতির স্বাক্ষরে তারা নমিনেশন দেবে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ কোন কোন দলের সঙ্গে জোট করবে এ কথা তাদের চিঠিতে বলা নেই। দুটি দল পৃথকভাবে বলেছে তারা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে। সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নৌকা প্রতীক নিয়ে করবে বলেছে। গণতন্ত্রী পার্টিও নৌকা প্রতীকে ভোট করবে বলে চিঠি দিয়েছে।
জাপার দুটি চিঠি এসেছে। জিএম কাদের বলেছেন, তার সইয়ে মনোনয়ন হবে। আবার রওশন এরশাদ বলেছেন, তারা জোটে ভোট করবেন। কোনটি আমলে নেবেন জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এটা কমিশন দেখবে। দুটি চিঠি এসেছে। কমিশন যেটা আমলে নেয়।
সাইনিং অথরিটি কে হওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণত দলের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিব সাইনিং অথরিটি হন। জিএম কাদের সাইনিং অথরিটি হলে বিবেচনা কী হবে, প্রশ্ন করলে অশোক এটা কমিশন বলতে পারবে।