আজ বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
ইসি সচিব বলেন, বিকেল ৫টায় কমিশনের ২৬তম কমিশন অনুষ্ঠিত হবে। কমিশনের সভা শেষে সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সাথে সভা করে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। ঘোষিত রোডম্যাপের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পূর্ণাঙ্গ তফসিল দেওয়া হবে। এটি টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
তফসিল ঘোষণা কেন্দ্র করে কমিশনের চারপাশে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, এ বিষয়টি দেখবে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। আমরা তাদের অনুরোধ রেখেছি। তারা কী পরিকল্পনা নিয়েছে সেটি তারাই বলতে পারবে।
এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তফসিল ঘোষণা পরিবেশ আছে কিনা। জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, রাজনৈতিক বিষয়ে প্রশ্ন করলে আমরা বিব্রত হই। বিষয়টা রাজনৈতিক ইস্যু। আমরা বারবার বলছি নির্বাচন কমিশন মনে করে তফসিল ঘোষণার পরিবেশ আছে।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য পুন:তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। কে এম নুরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন প্রথমে ওই বছর ২৩ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ রেখে তফসিল দিয়েছিল। পরে ভোটগ্রহণের তারিখ ৭ দিন পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়েছিল।
তার আগে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা করে কাজী রকিব উদ্দিন কমিশন। ওই তফসিলে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হয়।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র হচ্ছে ৪২ হাজার ১০৩টি। এক্ষেত্রে প্রায় ১০ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে। বাড়বে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্য সংখ্যাও। এবার ভোটের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা।