ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

উপ-নির্বাচনে জালভোট: দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিশেষ আইনে ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৩

উপ-নির্বাচনে জালভোট: দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিশেষ আইনে ব্যবস্থা
লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে জালভোট দেওয়ার ঘটনায় দায়ী ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।  

একইসঙ্গে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া এবং সংশ্লিষ্ট তিন কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে গেজেট প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের যে উপ-নির্বাচন হয়েছিল, এতে অনিয়ম সংক্রান্ত কিছু তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই তথ্যের আলোকে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের মাধ্যমে পৃথক পৃথক তদন্ত করিয়েছে। সেই তদন্তের আলোকে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের ভোটগ্রহণ হয়েছিল ৫ নভেম্বর। সে সেখানে ৭৪ নম্বর দক্ষিণ খাগুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কেন্দ্রে জালভোটের কিছু ছবি গণমাধ্যমে এসেছিল। এতে তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন অনুযায়ী অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। সে অনুযায়ী দুজনকে জালভোট প্রদানকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

ইসি সচিব জানান, যারা সেখানে ওই দুই বুথের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কর্মকর্তা বিশেষ আইন-১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই কেন্দ্রের ফল বাতিল করেছে কমিশন।  

তিনি জানান, ওই রিটার্নিং অফিসার ওই কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোট বাদ দিয়ে নতুন করে ফল বিবরণী পাঠালে কমিশন গেজেট প্রকাশ করবে। কারণ ওই আসনের যে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে যে ভোটের ব্যবধান, তা ওই কেন্দ্রের মোট ভোটের চেয়ে বেশি। এ কারণে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সংশোধিত ফল বিবরণী পাওয়ার পর গেজেট প্রকাশ করবে।

ইসি সচিব বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে অনিয়ম পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। কেন্দ্র দুটি হলো ৯৫ নম্বর যাত্রাপুর নুরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ১২৭ নম্বর শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এক্ষেত্রে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। দুই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কর্মকর্তা বিশেষ আইন-১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন্দ্র দুটির ফল বাতিল হয়েছে। সংশোধিত ফল বিবরণী পাওয়ার পর গেজেট প্রকাশ করবে ইসি।

নির্বাচনী কর্মকর্তা বিশেষ আইন-১৯৯১ অনুযায়ী, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকেই সাময়িক বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর, পদানবতি প্রভৃতি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হয়।

এর আগে নির্বাচনী অনিয়মের কারণে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল ইসি।