ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের আগ্রাসনে গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশু নিহত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ডব্লিউএইচও জানায়, গাজায় কোনো স্থানই নিরাপদ নয়; এমনকি সেখানে কেউ-ই নিরাপদে নেই। সেই সঙ্গে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ‘পতনের দ্বারপ্রান্তে’ বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
আজ শনিবার রয়টার্সের খবর বলা হয়েছে, শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, গাজা উপত্যকায় গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু নিহত হচ্ছে।
এ সময় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, গাজায় কোনো স্থানই নিরাপদ নয় এবং সেখানে কেউ-ই নিরাপদে নেই।
গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ‘পতনের দ্বারপ্রান্তে’ রয়েছে উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, গাজার ৩৬টি হাসপাতালের অর্ধেক ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই এখন আর কাজ করছে না। এখনো যেসব হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র সক্রিয় রয়েছে, সেগুলো প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।
হাসপাতালগুলোর অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে টেড্রোস আধানম বলেন, ‘গাজার হাসপাতালের করিডর পর্যন্ত আহত, অসুস্থ ও মৃত ব্যক্তিদের ভিড় লেগে আছে। মরদেহে উপচে পড়ছে মর্গ। অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই অস্ত্রোপচার করতে বাধ্য হচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ হাসপাতালে আশ্রয় নিচ্ছেন।’
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। তাদের এ হামলা থেকে মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের ঘরবাড়িসহ গাজার কোনো অবকাঠামো বাদ যাচ্ছে না। গত এক মাসে এ হামলায় গাজা ও পশ্চিমতীরে স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রগুলোর ওপর ২৫০টিরও বেশি এবং ইসরাইলে ২৫টি হামলা হয়েছে। এতে জাতিসংঘের ১০০-এর বেশি কর্মী নিহত হয়েছেন।
ইরাইলের বর্বর এ হামলায় ইতোমধ্যে নিহতের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজারে পৌঁছেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনির মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশিই শিশু।