Can't found in the image content. পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে বিএনপির হাত আছে: ওবায়দুল কাদের | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে বিএনপির হাত আছে: ওবায়দুল কাদের

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, নভেম্বর ১১, ২০২৩

পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে বিএনপির হাত আছে: ওবায়দুল কাদের
পোশাক কারখানায় শ্রমিক আন্দোলনে বিএনপি ও সমমনাদের হাত আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে বিএনপির উসকানি আছে কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইন্ধন তো আছেই। এখানে পরিষ্কারভাবে বিএনপি এবং তার দোসরদের কালো হাত বিস্তৃত হয়ে আছে। তারাই উসকানি দিচ্ছে, তারাই গুজব সৃষ্টি করছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, উসকানি আর গুজব সৃষ্টি করে তারা নিরীহ শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করছে। শ্রমিকদের বেতন ছিল ৮০০ টাকা। আর সেই বেতন এখন ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এখন দেশের অবস্থাও বুঝতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার পরিষ্কার করে সেটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেখানে বিজিএমইএর দু-একজন নেতাও ছিলেন। তারা শুনেছেন। এ ব্যাপারে বেশিরভাগ সমাধান হয়ে গেছে। তবে কোনাবাড়ি ও আশুলিয়া, এই দুইটা জায়গায় কিছু সমস্যা আছে। আমরা মনে করি, আমাদের শ্রমিকরা বর্তমান বাস্তবতার বিষয়গুলো উপলব্ধি করে সমাধানে এগিয়ে আসবেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দলের আন্দোলনের নামে চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিরোধ করতে হবে এবং নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভিন্নমতের প্রতিকূল স্রোতের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছি আমরা। 

তিনি বলেন, আজকে বিভিন্নভাবে সরকারবিরোধী চক্রান্ত চলছে, দেশে-বিদেশে সরকারবিরোধী তৎপরতা চলছে। ২৮ তারিখে তাদের আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত-এটা বলা যায়। এখন স্বাভাবিক আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর তারা অস্বাভাবিক পথে চলতে শুরু করেছে। তাদের পুরোনো রাজনীতির অভ্যাস অগ্নিসন্ত্রাসের উপাদান যুক্ত করেছে। এসব করে তারা শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য সবশেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে পারছে না, চোরাগোপ্তা হামলা করছে।

আওয়ামী লীগ নাশকতাবিরোধী দল উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। এমন অবস্থায় রাজপথে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে। জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। দ্রুতই তফশিল হয়ে যাবে। এখন দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হাতে আছে। একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি, আরেকটি কাজ হচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলনের নামে চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করা এবং নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখা।

যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

বৈঠক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয়ে নগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের অবহিত করেন। আগামী নির্বাচন ও বিএনপির আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও প্রসঙ্গে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের চলমান সতর্ক অবস্থান ও প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে কর্মসূচি ঘিরে কারা আগুন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করছে, তাদের চিহ্নিত করার নির্দেশনার কথাও জানান তিনি। পাশাপাশি তফশিলের পরে বিএনপি-জামায়াত আরও বেশি ‘অ্যাগ্রেসিভ’ হতে পারে আশঙ্কা করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আরও সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।