আর স্বপ্ন নয়, কক্সবাজার তথা দেশবাসীর কাছে রেলপথ বাস্তবে রুপ নিচ্ছে এখন। বাকঁখলী নদীর উপর নির্মিত সেতুসহ যা উদ্বোধনের জন্য ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফর উপলক্ষে স্থানীয়দের মাঝে আনন্দের যেন শেষ নেই। কক্সবাজারে আইকনিক রেল স্টেশন ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরসহ ১১ মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য ১১ নভেম্বর কক্সবাজারে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন সকালে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে সুধী সমাবেশ এবং পরে মাতারবাড়িতে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি বেশি হওয়ায় খুশি জেলার সর্বত্রের মানুষ।
‘সৈকত শহর কক্সবাজারে রেলপথ’ অবশেষে সেই যুগের পর যুগ অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে ১১ নভেম্বর। দোহাজারি-থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইন ও এশিয়ার প্রথম দৃষ্টি নন্দন আইকনিক স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ইতিপূর্বে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারী রামু-কক্সবাজার হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত মিটার গেজ রেললাইনের ভিত্তি প্রস্তর করেন। (ফুটেজ নং-৪)।
পরে এ প্রকল্পে চীনের সহায়তায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম ভাগে দোহাজারি-রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ৯টি স্টেশনসহ ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে একটি পরীক্ষা মুলক ট্রেন কক্সবাজার পর্যন্ত সফল ভাবে চালানোর পর ১১ নভেম্বর উদ্বোধনের অনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন রেলপথ মন্ত্রী।
কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন ও আইকনিক স্টেশন এটি ত্রুটিমুক্ত ও এশিয়ার প্রথম দৃষ্টি নন্দন বলে উল্লেখ করছেন নির্মাণ কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।
দেশ স্বাধীনের আগে ও পরে অনেক সরকার গেছে আসছে কিন্তু বর্তমান সরকার যা পেরেছে তা আর কেউ পারেনি এমনটি বলেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।
রেলপথ বাস্তবায়নের ফলে পর্যটন শিল্পে যেমন ইতিবাচক পরিবর্তন হবে তেমনি পন্যের পরিবহনে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে মানুষ জানালেন চেম্বারের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা।
গত বছর ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ কক্সবাজার সফর করেন। ওই সময় তিনি কক্সবাজারে ১৯৬৩.৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও চারটি নতুন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং ইনানীতে আট দেশের চারদিনের নৌ মহড়ার উদ্বোধন করেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর সেটি ছিল তার প্রথম কক্সবাজার সফর।