বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে কেজিপ্রতি আলু ২৬-২৭ টাকায় বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তবে এতে কাঙ্খিত ফলাফল আসবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এবিষয়ে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বাংলাভিশনকে বলেন, এখন বিক্রির মূল্য পরিশোধ করা হয় ডিজিটাল মাধ্যমে। তাই বিক্রির দাম নিয়ন্ত্রণ করা কতটা সম্ভব হবে বলা যাচ্ছে না। এছাড়া অবরোধের কারণে সাপ্লাই চেইন ঠিক মতো কাজ না করায় আমদানি করা আলু বাজারে আসতে দেরি হচ্ছে। সাপ্লাই চেইন ঠিক হলে দামও কমে আসবে।
গত ৩১ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী জানিয়েছেন, সোমবার (৩০ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি পত্র জারির মাধ্যমে সব জেলা প্রশাসকদের কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে কেজি প্রতি ২৬-২৭ টাকায় আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বুধবার (১ নভেম্বর) থেকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর আলুর বিক্রয় মূল্য কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৬ থেকে ২৭ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যে কোল্ড স্টোরেজ ও খুচরা কোনো পর্যায়েই আলু বিক্রি করা হচ্ছে না।
এর ফলে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আরও বলেন, ভারতীয় আলু দেশে আসলে বাজার স্বাভাবিক হবে। ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা আলু ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিরোধী দলের চলমান অবরোধের কারণে আমদানি করা আলু ঢাকায় পৌঁছতে না পারায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই দাম কমে যাবে।
জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের নিবন্ধিত ১২৭টি কোল্ড স্টোরেজগুলোতে মজুদ আছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৩৯.৭০ মে.টন। এর মধ্যে খাবারের উপযুগী আলু ৯৫ লাখ ৪২৫.৯৮ মে.টন। যা মোট মজুদ আলুর ৩৬ শতাংশ।