দুর্নীতির অভিযোগে নিজের চিফ অব স্টাফ গ্রেফতার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পদত্যাগ করেছেন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা। একটি লিথিয়াম উত্তোলন ও হাইড্রোজেন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিওর চিফ অব স্টাফকে গ্রেফতার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী কস্তার বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করার ঘোষণা দেয় প্রসিকিউটর অফিস। এর পর প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সোসার সঙ্গে দেখা করে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন আন্তোনিও কস্তা। তবে পদত্যাগ করার আগে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৬২ বছর বয়সি কস্তা। তিনি বলেন, ‘আমি বিচারব্যবস্থাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করি। যদি সন্দেহজনক কিছু থাকে, বিচারব্যবস্থা সেটি কোনো বাধা ছাড়াই দেখতে পাবে। আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই।’
প্রেসিডেন্ট মার্সেলো তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পর্তুগালের বিরোধী দল এ দুর্নীতির ঘটনায় পুরো সরকারের পদত্যাগ চেয়েছে। পর্তুগালের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামে হওয়া এ দুর্নীতির বিষয়টি দেখছেন সুপ্রিমকোর্ট।
এদিকে, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে দেশটির অবকাঠামো মন্ত্রীকেও। যে হাইড্রোজেন ও লিথিয়াম উত্তোলন প্রকল্পে দুর্নীতির জেরে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন, সেটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়ন রয়েছে। সূত্র: আলজাজিরা