নেপালে হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের খোঁজে সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।
শনিবার তারা ধসে পড়া ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপ হাত দিয়ে সরিয়ে উদ্ধার প্রচেষ্টা শুরু করে দেন।
রয়টার্স জানায়, আট বছরের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক এই ভূমিকম্পে এদিন সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৪৩ জন ছিল। এ ভূমিকম্পে অনেক দূরের নয়াদিল্লির ভবনগুলোও কেঁপে উঠেছিল।
নেপালের ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে ৫০০ কিলোমিটার পশ্চিমে কারনালি প্রদেশের জাজরকোট জেলার রামিদাণ্ডায় শুক্রবার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পটি।
তবে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭; আর ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী ভূমিকম্পটি ছিল ৫ দশমিক ৬ মাত্রার।
রাতে ভূমিকম্প হলেও কেবলমাত্র শনিবার ভোরে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে পৌঁছতে সক্ষম হন জরুরি উদ্ধারকর্মীরা। পৌঁছেই তারা জীবিতদের সন্ধানে কাজে নেমে পড়েন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা।
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছেন, কারনালি প্রদেশের জাজারকোটে ৯৯ জন নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়েছেন এবং পশ্চিম রুকুম জেলায় ৩৮ জন নিহত ও অন্তত ৮৫ জন আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাজারকোটে তিনটি শহর ও তিনটি গ্রাম ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভূমিকম্পে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল (প্রচণ্ড) গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি শনিবার সকালে ক্ষয়ক্ষতি দেখতে চিকিৎস ও প্রয়োজনীয় উপকরণসহ জাজারকোটের দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান। জাজারকোট হাসপাতালে আতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি তাদের স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
এর আগে ২০১৫ সালে নেপালে দু’টি ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিল নয় হাজারের মতো মানুষ। তখন কয়েকটি শহর, শতবছরের পুরনো অনেক মন্দির, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা পুরোপুরি মাটির সাথে মিশে গিয়েছিল। ধ্বংস হয়েছিল ১০ লাখের বেশি ঘরবাড়ি।