নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৫, ২০২১
স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে দেশের
২১ টি স্থানে মহাসমাবেশের
মাধ্যমে ‘পথে পথে বিজয়’
উদযাপন করা হবে ।
আগামী
২৬ নভেম্বর দিনাজপুরে উপ-আঞ্চলিক সমাবেশের
মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ
আয়োজন শুরু হবে। যার
মধ্যে ৭টি আঞ্চলিক ও
১৪টি উপ-আঞ্চলিক মহাসমাবেশ
অনুষ্ঠিত হবে। এসব অঞ্চল ১৬
ডিসেম্বর ১৯৭১ এর আগেই
পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধ
মন্ত্রী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য
মর্যাদার সাথে উদযাপনের জন্য
গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি আ
ক ম মোজাম্মেল হক
আজ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে
এসব কথা জানান ।
মোজাম্মেল
হক বলেন, ‘এ বছর আমরা
জাতীয়ভাবে উদযাপন করছি মহান স্বাধীনতার
৫০ বছর পূর্তি তথা
সুবর্ণজয়ন্তী। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপনের জন্য
গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটি ৫০টি
জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে একটি কর্মসূচি হলো
‘পথে পথে বিজয়’ শিরোনামে
দেশের বিভিন্ন স্থানে শত্রুমুক্ত হবার দিনে আঞ্চলিক
মহাসমাবেশ।’
তিনি
বলেন, ১৯৭১ সালের পর
থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বছর ২০২১ সাল
এবং এই গুরুত্বপূর্ণ মাহেন্দ্রক্ষণ
আমাদের প্রত্যেকেরই উদযাপন করা উচিত। বাংলাদেশ
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে বিজয়
অর্জন করেছিল, কিন্তু দেশের অনেক অঞ্চলে বিজয়
এসেছিলো ১৬ ডিসেম্বরের আগেই,
হয়েছিলো শত্রুমুক্ত। সেভাবেই আমাদের প্রথম বিজয় আসে পঞ্চগড়ে,
নভেম্বরের ২৯ তারিখে এবং
সাথে সাথে পঞ্চগড়কে শত্রুমুক্ত
অঞ্চল (মুক্তাঞ্চল) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর
থেকে আরও অনেক অঞ্চলও
শত্রুমুক্ত হওয়া শুরু হয়।
আমরা এই বিজয়গুলো উদযাপনের
মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের
কাছে এই শত্রুমুক্ত অঞ্চলগুলোর
তাৎপর্য তুলে ধরার চেষ্টা
করেছি।
মন্ত্রী
বলেন, মহাসমাবেশগুলো শহরের প্রাণকেন্দ্রে যেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি,
রাজনৈতিক, সামাজিক, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পী, ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শ্রেণী পেশার
মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারবে এমন
উন্মুক্ত স্থানে এ অনুষ্ঠিত হবে।
মহাসমাবেশে বিভিন্ন কার্যক্রম প্রদর্শনী, খেলা, কুইজ, আলোচনা, সংবর্ধনা, পুরস্কার বিতরণসহ বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সারা
দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য
সকল শ্রেণিপেশার মানুষ এ আঞ্চলিক মহাসমাবেশে
অংশ নেবেন।
৭টি
আঞ্চলিক ও ১৪টি উপ-আঞ্চলিক মহাসমাবেশ করার মূল উদ্দেশ্য
হচ্ছে- বিজয়ের গল্পগুলো পুনরায় বলা, স্থানীয় বীর
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে পুনরায় জানা এবং সম্মান
প্রদর্শন করা, যুদ্ধের
অসাধারণ গল্পগুলো উপভোগ করা, তরুণদের যুদ্ধের
ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে
দেওয়া, সবাইকে এই বিজয় দিবসের
বিশালতা উপলব্ধি করা, মহান
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দেশব্যাপী উদযাপন করা।
আঞ্চলিক
মহাসমাবেশের স্থান ও সময় পঞ্চগড়ে
২ ডিসেম্বর, যশোরে ৬ ডিসেম্বর, গোপালগঞ্জে
৭ ডিসেম্বর, কুমিল্লায় ৮ ডিসেম্বর, জামালপুরে
১১ ডিসেম্বর, কক্সবাজারে ১২ ডিসেম্বর এবং
সিলেটে ১৫ ডিসেম্বর।
এ
সময় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান এমপি , বাণিজ্য
সচিব ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
কমিটির সদস্য সচিব তপন কান্তি
ঘোষ, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়াসহ
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সুত্র:
বাসস