ইসরাইলি তাণ্ডবে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে গাজার পরিস্থিতি। চারদিকে ধ্বংসস্তূপ, লাশের সারি। একের পর এক হামলায় ধূলিসাৎ গাজায় শুধুই ভয়-আতঙ্ক। নির্বিচার হত্যায় অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়।
ইসরাইলের বিভীষিকাময় কর্মকাণ্ডের সবচেয়ে নির্মম শিকার নারী ও শিশুরা। প্রজন্ম ধ্বংসে তারাই ইসরাইলিদের মূল টার্গেট। ৭ অক্টোম্বর থেকে চলমান হামলায় নিহত হয়েছে হাজার হাজার শিশু। যা গত দেড় বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকেও হার মানায়।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে এখন পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার) ৫০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অথচ গাজায় মাত্র ২৭ দিনেই ৩,৭৬০ শিশুকে হত্যা করল ইসরাইল। ইউক্রেনের চেয়ে ৭ গুণ বেশি।
বৃহস্পতিবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস থেকে বিবৃতিতে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
ইউক্রেনের সঙ্গে গাজার তুলনামূলক জরিপে দেখা যায়, রাশিয়ার আগ্রাসনে ইউক্রেন দেড় বছরে ৯,০০০ বাসিন্দা নিহত হয়, আহতের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। অন্যদিকে গাজায় মাত্র ২৭ দিনেই ৯,০৬১ জন নিহত।
নারী হত্যার সংখ্যা ২,৩২৬ জন। আহত ৩২ হাজার। দুই হাজার বাসিন্দা নিখোঁজ। সরকারি মিডিয়া অফিসের আরেক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলের ভয়াবহ হামলায় প্রায় ১০ হাজার স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সবকিছু হারিয়ে উদ্বাস্তু আরও কয়েক লাখ মানুষ। নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে গাজার প্রায় ২৪০টি এলাকায় উদ্বাস্তু থাকছেন অনেকে। প্রায় ২ লাখ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে।
পাশপাশি ৮২টি সরকারি স্থাপনা এবং জনগণের সুযোগ-সুবিধায় ব্যবহৃত কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরাইলি হামলায় শুধু বাড়িঘরই নয়, ভাঙা হচ্ছে উপাসনালয়ও। গাজার সংকটকালীন পরিস্থিতিতে ১৬২টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর মধ্যে ৫২টি মসজিদ পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ১১০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়াও খ্রিষ্টানদের ৩টি চার্চ টার্গেট করেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইল