ইসরাইল-হামাস সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘে উত্থাপিত সাম্প্রতিক প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত। এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেসের সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেছেন, তার দল হামাসের হামলার দ্ব্যর্থহীন নিন্দা করলেও ইসরাইলি রাষ্ট্র এখন এমন একটি জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করেছে, যারা মূলত অসহায় এবং নির্দোষ।
তিনি আরও বলেন, তার দলের দীর্ঘদিনের অবস্থান হচ্ছে ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিতে সহাবস্থানকারী একটি সার্বভৌম স্বাধীন, টেকসই ও সুরক্ষিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য সরাসরি আলোচনাকে সমর্থন করা।
দ্য হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে সোনিয়া গান্ধী আরও বলেন, মানবতা এখন বিচারের সম্মুখীন। ইসরাইলের অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও নৃশংস হামলায় আমরা হতাশ। আর কত জীবন নেবে ইসরাইল?
গত ৭ অক্টোবর ইয়োম কুপার যুদ্ধের ৫০তম বার্ষিকীতে হামাস ইসরাইলের ওপর হামলা চালায়। এতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, ২০০ জনকে অপহরণ করা হয়। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলের বর্বরতায় গাজায় এ পর্যন্ত আট হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
এর আগে জাতিসংঘে ইসরাইল-হামাস ইস্যুতে মোদি সরকারের ভোটদানে বিরত থাকার ঘটনার সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের হাজার হাজার পুরুষ, নারী ও শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। ভারতের এ অবস্থান কার্যত বিশ্বশান্তি বিরোধী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রিয়াংকা লেখেন, আমি হতবাক, গাজায় সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলো ভারত। আমাদের দেশ শান্তি ও সত্যের নীতিতে গঠিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, দেশের সংবিধানও এ নীতির ওপর দাঁড়িয়ে তৈরি। তার মতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে এ নীতি দ্বারাই চালিত হয় ভারত।