ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪ |

EN

রুটির জন্য শত শত গাজাবাসী ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, অক্টোবর ২৩, ২০২৩

রুটির জন্য শত শত গাজাবাসী ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে
খাবার, পানি এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী সংকটে হামাস শাসিত গাজার অবস্থা দ্রুত অবনতি হচ্ছে। মানবিক সংকট আরো গভীরে চলে যাচ্ছে। 

রবিবার সকালে খান ইউনিসের একটি বেকারির সামনে রুটি কিনতে শত শত গাজাবাসী ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন। কারণ তাদের খাবার, পানি এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ শেষ হয়ে যাচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে স্বাধীনতাকামী হামাসের রকেট হামলার পর "সম্পূর্ণ অবরোধ" করে ইসরায়েল।

ইসলাম আল-স্কাফি। যিনি উত্তর গাজা থেকে খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। তিনিও রুটির জন্য দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি কোথায় যেতে পারে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

ইসলাম আল-স্কাফি বলেন, আমাদের দুর্ভোগ নজিরবিহীন। ভোর থেকে আমরা এই বেকারির দরজায় দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের কষ্ট একমাত্র আল্লাহই জানেন। আরও দু-তিন দিন এমন অবস্থা চলতে থাকলে গাজা উপত্যকায় এমন বিপর্যয় ঘটবে, যা কেউ আশা করেনি।  শিশুরা ক্ষুধার্ত। এক প্যাকেট রুটি তিন দিনের জন্য চারটি পরিবারের জন্য যথেষ্ট হলেও সেটি এখন প্রায় ত্রিশটি পরিবারের খাবার। আমরা কষ্ট পাচ্ছি। আমরা ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় রাস্তায় পানির সন্ধান করি। শুধু দুই বোতল পানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকি। পরিস্থিতি দুঃখজনক। আমরা সমস্ত দেশ ও জাতিকে আমাদের দিকে মানবতার দৃষ্টিতে তাকানোর অনুরোধ করি। গাজার শিশুরা বিমান হামলার কারণে মারা যাচ্ছে। শিশুরা ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য তাদের টিকিয়ে রাখার মতো আমাদের কাছে কিছুই নেই।

গাজানের খান ইউনিসের নাগরিক শাদি আল-আককাদ বলেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে, সমগ্র জনগণ খাবার-পানী খুঁজে পাবে না। আমরা রুটি-আটা, কিছুই খুঁজে পাব না। পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। আমাদের একটি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। কিছু লোকের অবস্থা খুব খারাপ, কিছু লোক বাস্তুচ্যুত এবং তারা খেতে পারে না।

সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরাইলে হামলা চালায় স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধারা। সেখানে তাদের হামলায় প্রায় ১৪শ’ মানুষ নিহত হয়, আটক হয় দুইশ’র বেশি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শতাধিক শিশুসহ কমপক্ষে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং গাজায় প্রায় আড়াই মিলিয়ন মানুষের মধ্যে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।