গাজায় যুদ্ধরত সব পক্ষকে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর সংগঠন জিসিসি এবং আসিয়ান। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজায় বেসামরিক জনতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এ সংগঠন দুটির নেতারা।
সৌদি আরবে এক সামিটে অংশ নেন নেতারা। এতে তারা অধিক পরিমাণ মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, রিলিফ সরবরাহ ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সেবা ও সার্ভিস পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তারা সব পক্ষের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান বেসামরিক লোকজনকে রক্ষা করার। তাদেরকে যেন টার্গেট করা থেকে বিরত থাকা হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইন মেনে চলার অনুরোধ করা হয়।
বিশেষ করে যুদ্ধকালীন বেসামরিক লোকজনকে রক্ষা বিষয়ক জেনেভা কনভেনশনের নীতি ও বিধিগুলো মেনে চলার আহ্বান জানান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ।
নেতারা এক বিবৃতিতে অবিলম্বে সব জিম্মি ও বেসামরিক বন্দি, বিশেষ করে নারী, শিশু, অসুস্থ এবং প্রবীণদের নিঃশর্ত ও অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ করতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন আঞ্চলিক এই দুই সংগঠনের নেতারা। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরাইল ও তার প্রতিবেশীদের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি সমাধানের আহ্বান জানান তারা।
উভয়পক্ষের মধ্যে আরও অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করা এবং সহযোগিতাকে বৃদ্ধির জন্য সামিটে অংশগ্রহণকারী নেতারা ‘ফ্রেমওয়ার্ক অব কো-অপারেশন ২০২৪-২০২৮’-এর বিষয়ে একমত হন।
সামিটের উদ্বোধনী ভাষণ দেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এ সময় তিনি ফিলিস্তিনি সমস্যার সমাধানে পৌঁছার জন্য সৌদি আরবের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। সবক্ষেত্রে আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চায় বলে জানান ক্রাউন প্রিন্স।
তিনি আরও বলেন, গাজায় সহিংসতা বৃদ্ধিতে তিনি বেদনাহত। সেখানে এই সহিংসতার জন্য মূল্য দিতে হচ্ছে নিরীহ মানুষকে। সামিটে বক্তব্য রাখেন ১০টি দেশের সংগঠন আসিয়ানের বর্তমান নেতৃত্ব পাওয়া ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
উদ্বোধনী বিবৃতিতে তিনি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান।
এই দুটি সংগঠন ১৯৯০ সালে তাদের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। জিসিসিভুক্ত দেশগুলো হলো সৌদি আরব, ওমান, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
অন্যদিকে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই দারুসসালাম, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার ও ফিলিপাইন। বর্তমানে এই দুটি ব্লকের মধ্যে বাণিজ্য হয় কমপক্ষে ১১ হাজার কোটি ডলারের।