৭ অক্টোবর হামাস সৈন্যরা সর্বপ্রথম গাজা সীমান্তের কাছের কিবুতজের নির ওজ গ্রামে প্রবেশ করে। ইহুদী অধ্যুসিত সেই গ্রামে শুধু একটি বড় পরিবারে ৪শ’ মানুষের বসবাস ছিল। তাদের প্রায় সবার মৃত্যুর পাশাপাশি ওই গ্রামের প্রতি ৪ জন মানুষের মধ্যে একজন নিখোঁজ বা নিহত হয়েছেন বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। খবর রয়টার্সের।
কিতবুজের বাসিন্দা শাচার বাটলার সেদিনের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হলেও প্রাণে বেঁচে গেছেন। তিনি রয়টার্সের কাছে বর্ণনা দিয়েছেন ঘটনার ভয়াবহতা। বাটলার জানিয়েছেন, নির ওজ গ্রামে একটি বড় পরিবারের মতো করে আঁটসাঁট হয়ে তারা অন্তত ৪০০ জন বসবাস করতেন। এরা প্রায় সবাই মারা গেছেন। তারা ছাড়াও সেই গ্রামে প্রতি ৪ জনে অন্তত ১ জন করে নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। হামাসের এই অভিযানকে ইসরায়েলের ৭৫ বছরের ইতিহাসে বিরল ঘটনা বলেও আখ্যা দেন বাটলার।
বাটলার বলেন, গ্রামটিতে যে পরিমাণ ধংসযজ্ঞ হয়েছে আমরা তা পুনঃনির্মাণের চেষ্টা করছি। চারশো জন ছাড়াও এখানে প্রতি ৪ জনে একজন নিখোঁজ বা নিহত হয়েছেন। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় আঘাত। আমরা সবাই এখানে একটি বৃহৎ পরিবারের মতো ঘনিষ্টভাবে বসবাস করতাম।
৭ অক্টোবরকে মারত্মক দিন দাবি করে শাচার বাটলার জানান, তিনি ভোরে হাটতে গিয়ে প্রথমে বহিরাগতদের দেখতে পান। তাই পরিবারকে নিরাপদে সরানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু হামাস সোন্যরা তাদের বাড়িঘরগুলো পুড়িয়ে দেয়। বাগানগুলো আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয় এবং কিছু বাড়ির মেঝে মানুষের রক্তে ঢেকে যায়।
তিনি বলেন, আমি আমার পরিবারকে একটি নিরাপদ কক্ষে রেখেছিলাম। আমি তখন বাইরে ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো বহিরাগতকে দেখেছিলাম। তারা আমাকে ঘরের ভেতরে যেতে বাধ্য করেছিল। এদের মধ্যে কেউ একজন ঘরের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল। বাধা দিতে আমাকে গুলি করে। সকাল সোয়া আটটার দিকে সেনা সদস্যরা এসে আমাদের ওই কক্ষ থেকে উদ্ধার করে। আরো কয়েকজনকে সহ আমাদের একটি বাসে করে ইসরায়েলের নিরাপদ স্থানে নিয়ে সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত ৭ অক্টোবরে হামাসের অভিযানে ইসরায়েলের অন্তত ১৪শ’ প্রাণহানি ঘটেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে। তবে কতজন ইসরায়েলিকে বন্দি করা হয়েছে সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি কেউই।