আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পতন কি শুধু সরকারি দলের হয়, বিরোধীদল নেতিবাচক রাজনীতি করে পতন হয়েছে। আমেরিকার সংস্থার সমীক্ষায় বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ লোক সরকারের পক্ষে।
এ সময় বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি হাসপাতাল বন্ধ করেছিলেন। শেখ হাসিনার অর্জন রাখলেন না। এবার পদ্মা সেতু ভাঙবেন, মেট্রোরেল ভাঙবেন, ইউরেনিয়াম বন্ধ করে দেবেন? শেখ হাসিনা সরকারের অর্জন আগে একদিনে ১০০ সেতু উদ্বোধন, এবার ১৫০ সেতু উদ্বোধন করলেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে ১৫০টি সেতু ও ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখনও তারা (বিএনপি) যে পথে চলছে, সেটা ভুল পথ। তাদের বলি, আপনারা এ ভুল পথ ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনের পথে আসুন।
তিনি বলেন, যদি দেশকে ভালোবাসেন, মুক্তিযুদ্ধকে ভালোবাসেন, স্বাধীনতাকে ভালোবাসেন, তাহলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন আজিমপুর কবরস্থানে শায়িত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে কথা বলে এখন আর লাভ নেই।
তিনি বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশের দিকে তাকান। আর ১৫ বছর পর আজকের বাংলাদেশের দিকে তাকান। এ বাংলাদেশের রূপকার (শেখ হাসিনা) আজ আমাদের মধ্যে বসে আছেন। এটা সারা বিশ্বের বিস্ময়। এরা কী দেখে না ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কীভাবে সমর্থন করেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তো নিজেই সেলফি তোলেন। জি-২০ তেও সেলফি তোলেন, জাতিসংঘেও সেলফি তোলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা দ্বিজাতি তত্ত্বের লাইনে চলে গেছে। তাই আমাদেরও বুঝতে হবে কোন লাইনে আমরা যাব। সাম্প্রদায়িকতা আর জঙ্গিবাদ- এটি আমাদের লাইন নয়। তাদের সুযোগ দিয়ে লাভ নেই। তাদের সুযোগ দিলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এখন বিশ্বে কত ঘরে আগুন। ঘরই সামলাতে পারছেন না। আর তিনি তো (মির্জা ফখরুল) প্রতিদিনই বক্তব্য দিচ্ছেন, পশ্চিমারা না কি আমাদের বিরুদ্ধে। মির্জা আব্বাস তো বলেন, চাঁদরাত।