হামাসের সদস্য, আর্থিক সহায়তাকারীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ (অর্থবিভাগ) বুধবার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। খবর বার্তাসংস্থা এএফপির।
এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা গাজা এবং সুদান, তুরস্ক, আলজেরিয়া ও কাতারসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করেন বলে মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
অর্থবিভাগের সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শিশুসহ ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিকদের নৃশংস ও অকল্পনীয় বেপরোয়া হত্যাকাণ্ডের পর হামাসের অর্থদাতা এবং সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
ইয়েলেন আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অর্থায়নকে কার্যকরভাবে ব্যাহত করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে মার্কিন ট্রেজারির এবং আমরা হামাসের বিরুদ্ধে আমাদের হাতিয়ার ব্যবহার করতে দ্বিধা করব না।’
এক পৃথক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা হামাসকে “ইসরাইলের ওপর জঘন্য হামলা করতে” সহায়তা করেছে। আজকের নিষেধাজ্ঞা হামাস ও তাদের সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নয়।
উভয় পক্ষের সংঘর্ষের এ পর্যায়ে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরাইল সফরে যান। তিনি এ সংকটে ইসরাইলের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর মধ্যেই মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ (অর্থবিভাগ) হামাসের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করল।
হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে রকেট হামলা চালায়। এতে অন্তত ১৪০০ লোক মারা যান। হামাস শতাধিক ব্যক্তিকে অপহরণ করেছে বলেও দাবি করেছে ইসরাইল।
এরপর থেকে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। গাজায় স্থল হামলার ঘোষণাও দিয়েছে ইসরাইল। মঙ্গলবার রাতে গাজার এক হাসপাতালে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা এ পর্যন্ত ৩ হাজার ছাড়িয়েছে।