ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪ |

EN

কে এই হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার?

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৭, ২০২৩

কে এই হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার?
ইসরাইলের কড়া নিরাপত্তা ভেদ করে আচমকাই অভিযান চালিয়েছে মুক্তিকামী রাজনৈতিক বাহিনী হামাস। ঘটনায় দেশটির ১৪০০ নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইসরাইলে আকস্মিক হামাস অভিযানের পর বারবার উঠে আসছে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের (৬০) নাম। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরাইলে গত কয়েক দশকের সবচেয়ে শক্তিশালী অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সোমবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

ইয়াহিয়া সিনওয়ার উত্থান: ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণকারী সিনওয়ার দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহরে বড় হয়েছিলেন। তখন উপত্যকাটি মিসরের নিয়ন্ত্রণে ছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, সিনওয়ারের পরিবার আগে আশকেলনে বসতি স্থাপন করেছিল, কিন্তু ১৯৪৮ সালে ইসরাইল আশকেলনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর গাজায় চলে যেতে হয়েছিল। গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে সিনওয়ার আরবি স্টাটিজে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

কারাগারের জীবন: সিনওয়ার প্রায় ২৪ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। ১৯৮২ সালে তিনি প্রথম গ্রেফতার হন। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি ফিলিস্তিনি আন্দোলনের সময় সালাহ শেহাদের সঙ্গে যুক্ত হন। সালাহ শেহাদ সেসময় হামাসের কাসাম ব্রিগেডের নেতৃত্বে ছিলেন। ২০০২ সালে ইসরাইলি বাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করেছিল। ১৯৮৮ সালে সিনওয়ারকে দুই ইসরাইলি সৈন্য এবং চারজন ফিলিস্তিনিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। পরের বছর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

করাগার থেকে মুক্তি: ২০০৬ সালে একটি সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে ইসরাইলের ভেতরে প্রবেশ করে হামাসের সামরিক শাখা ইজ আদ-দিন আল-কাসেম ব্রিগেডের কিছু যোদ্ধা। তারা ইসরাইলি আর্মির একটি চেকপোস্টে হামলা চালান এবং দুই সেনাকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন সৈনিক।

সেই হামলার সময় গিলাদ শালিত নামে এক ইসরাইলি সেনাকেও বন্দী করে নিয়ে আসেন হামাস যোদ্ধারা। এই গিলাদ শালিত প্রায় পাঁচ বছর হামাসের আস্তানায় বন্দী ছিলেন। পরে একটি বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় তাকে ২০১১ সালে মুক্তি দেওয়া হয়।

সিনওয়ারের উত্থান: তার মুক্তির পরের বছরগুলিতে সিনওয়ার হামাসে সিনওয়ারের উত্থান ঘটতে থাকে।  ২০১৫ সালে, সিনওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের তালিকায় প্রবেশ করেছিল। । ২০১৭ সালে, সিনওয়ার গাজায় হামাসের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন।

গাজার শাসক
সংগঠনের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহের পর হামাসের নেতৃত্বে সিনওয়ারের অবস্থান ২ নম্বরে। হানিয়েহ স্বেচ্ছা নির্বাসনে থেকে সব পরিচালনা করে। এখন সিনওয়ার গাজার প্রকৃত শাসক। তিনি ধারাবাহিকভাবেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের পক্ষে ছিলেন।

২০২৩ ইসরাইল আক্রমণ
সম্প্রতি হামলার পরিকল্পনাকারীর জন্য সিনওয়ারকে অভিযুক্ত করেছে। ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচট শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইয়াহিয়া সিনওয়ার এ হামলার পিছনে মাস্টারমাইন্ড।’