তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
সচিবালয়ে সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
নির্বাচনকালীন সরকার কি গতবারের মতো হবে, নাকি কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কোনো প্রয়োজন বা বাধ্যবাধকতা নেই। এটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকালীন বর্তমান মন্ত্রিসভার পুরোটা থাকবে কিনা, নাকি সেটি ছোট করবেন কিংবা বড় করবেন, সেটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের অবস্থান যেমন ইসরাইলকে সাহস জোগাচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে পশ্চিমাদের অবস্থান তাদের (বিএনপি) সাহস জোগাচ্ছে। দুইটার মধ্যে মিল আছে।
মন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের অবস্থান ইসরাইলকে স্পষ্ট সাহস জোগাচ্ছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রিয়া এমনকি অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সেখানে দমন করা হয়েছে। এখন ইসরাইলিদের বিপক্ষে যাবে বিধায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কেউ কথা বলতে পারবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনি দল সংলাপের কথা বলেছেন। সে বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?-জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র যে কোনো পরামর্শ দিতেই পারে। দেশটা আমাদের ও দেশের মালিক জনগণ, এখন বন্ধুরাষ্ট্র কে কি করল সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। দেশের জনগণ কি চায় সেটি হচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারা পরামর্শ দিতে পারে। সেটা গ্রহণ করব কি করব না, সেটা সম্পূর্ণ আমাদের এখতিয়ার।