ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

স্বাধীনতাকামী হামাসের হাতে বন্দি ১৫০ ইসরাইলি

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, অক্টোবর ১৬, ২০২৩

স্বাধীনতাকামী হামাসের হাতে বন্দি ১৫০ ইসরাইলি
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ১৫০ জন মানুষকে বন্দি করেছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। 
গত সপ্তাহে ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলার পর তাদের আটক করে হামাস।  

এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে হামাস ইসরাইলে মারাত্মক হামলা চালানোর পর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীর হাতে ১৫০-এর বেশি বন্দি হয়েছেন বলে রোববার নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, হামাসের হাতে আটক হওয়া ‘১৫৫ বন্দির’ পরিবারের সঙ্গে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেছে।
অবশ্য এর আগে দেওয়া পরিসংখ্যানে হামাসের হাতে আটক বন্দির সংখ্যা ১২৬ জন বলে জানানো হয়েছিল।

এদিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান জানিয়েছেন, খুব শিগগির গাজায় প্রবেশ করবেন তাদের সেনারা এবং গাজায় গিয়ে হামাসকে ধ্বংস করবেন তারা। রোববার যুদ্ধের সম্মুখভাগে সেনাদের সঙ্গে দেখা করতে যান আইডিএফপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি। সেখানে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

জেনারেল হেরজি হালেভি সেনাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হলো এখন গাজায় প্রবেশ করা। সেখানে যাওয়া যেখানে হামাস প্রস্তুতি নিচ্ছে, কাজ করছে, পরিকল্পনা করছে এবং রকেট ছুড়ছে। তাদের সব দিক দিয়ে হামলা করুন, প্রত্যেক কমান্ডার, প্রত্যেক সদস্য এবং সবাইকে ধ্বংস করুন।’

মূলত মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত সপ্তাহে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসের এই অভিযানে কার্যত হতবাক হয়ে পড়ে ইসরাইল।

হামাসের এই হামলায় নিহত ইসরাইলিদের সংখ্যা ১৪০০ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ২৮৬ জন সেনাসদস্যও রয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। হামাসের হামলায় আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার ইসরাইলি। এ ছাড়া আরও বহু মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস।

পরে হামাসের হামলার প্রতিশোধে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সীমান্তপ্রাচীরের কাছে অবস্থান নিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর শত শত ট্যাংক। গাজায় অব্যাহত বিমান হামলার মধ্যেই গত শনিবার ট্যাংকগুলো গাজার কাছে নিয়ে আসা শুরু হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে— যে কোনো সময় গাজায় ইসরাইলের স্থল অভিযান শুরু হতে পারে।