ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তর

সহকারী প্রকৌশলীর নামে দুদকে দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, অক্টোবর ১১, ২০২৩

সহকারী প্রকৌশলীর নামে দুদকে দুর্নীতির অভিযোগ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মবিনুর রহমান মুরাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও টেন্ডার বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মবিনুর রহমান পিআইও সমিতি’র সভাপতি হওয়ায় সারা দেশের পিআইওদের অর্থের বিণিময়ে বদলি ও সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তার পছন্দের মনোনিত ঠিকাদার টেন্ডারে কাজ না পেলে অন্য ঠিকাদার দিয়ে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি প্রর্দশন করে কাজ বিক্রি করতে বাধ্য করায়। সহকারী প্রকৌশলী হয়েও ওই অধিদপ্তরের টেন্ডারের নিয়ন্ত্রণ তার হাতে। অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হয়েও প্রকল্পের নির্মাণ কাজের প্রতিটি বিল থেকে ৩শতাংশ কমিশন নিয়ে থাকেন। কমিশন ছাড়া কোন কাজের ছাড়পত্র দেয়না।

অভিযোগে আরো বলা হয়, ৪৫ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করে উত্তরার ১৪ নং সেকটরে ১৯ নং রোডে ৩৮ নং বাড়ীতে ১২৩০ স্কায়ার ফিটের একটি ফ্লাট। ১২ নং সেকটরের ১ নং রোডের ৬৪ নং হাউজে একটি ফ্লাট। ২ টি বিলাশবহুল গাড়ী যার ১টি নোহা হাইব্রিড গাড়ী যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ-১৬২৭০১। এছাড়াও লঙ্কা বাংলা ক্রেডিট কার্ডে প্রতি মাসে এক থেকে দেড় লাখ টাকা বিল দেন। এছাড়া স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের নামে এলিকোতে কোটি টাকার ইন্সুইরেন্স। তার ছেলে-মেয়ে উত্তরার মাইলস্টোনে পড়ে। এছাড়া নিজ এলাকায় নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক।



অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, তার স্ত্রীর নামে ময়মনসিংহ শহরে রয়েছে প্রায় ৪৭ শতাক জমি। যার দাম কয়েক কোটি টাকা।

এছাড়া তিনি উত্তরার ডায়নামিক ক্লাবের সদস্য। অভিযোগ আছে, তিনি ওই ক্লাবে প্রায়ই মদ ও নারী নিয়ে অনন্দে মেতে ওঠেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, কৃষক বাবার সন্তান হলেও এলাকার বিভিন্ন সভা সমাবেশে তিনি অর্থ ব্যায় করেন। এজন্য এলাকায় তিনি ‘দানবীর’ নামে পরিচিত।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মবিনুর রহমান মুরাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।