Can't found in the image content.
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, নভেম্বর ২২, ২০২১
প্রতারণা
ও জালিয়াতির দুই মামলায় গ্রেপ্তার
ডা. সাবরিনা চৌধুরী এখন কাশিমপুর মহিলা
কারাগারে অন্তরীণ। যদিও এক মামলায়
তার জামিন আবেদন মঞ্জুর হয়ে আছে বছর
খানেক আগে, কিন্তু অন্য
মামলায় আটকে আছেন কারাগারে।
সেখানে
কেমন কাটছে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন এবং জুবেদা হেলথ
কেয়ারের (জেকেজি) চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর?
তার জামিন কিংবা মামলাগুলোরই কী অবস্থা?
কারাগারের
একটি সূত্র জানায়, ভিআইপি বন্দি হওয়ায় কারাগারের রজনী সেলে বন্দি
রয়েছেন এই নারী চিকিৎসক।
সাধারণত সেখানে একাকী সময় কাটছে তার।
খুব ভোরে ঘুম থেকে
ওঠেন। এরপর সকালের নাস্তা
খেয়ে পত্রিকা পড়ে সময় কাটান।
এ ছাড়া কারাগারের লাইব্রেরিতে
বই পড়েও সময় কাটে
তার।
ফেসবুকে
নানা সময়ে নিজের আকর্ষণীয়
ছবি দিয়ে আলোচিত ডা.
সাবরিনার শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। নিয়মানুযায়ী
কারাগারের দেওয়া খাবারই খান তিনি। এ
ছাড়া প্রিজন ক্যান্টিন থেকেও তিনি খাবার কিনে
খান বলে জানায় কারাসূত্র।
করোনাভাইরাসের
কারণে কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ
থাকায় পরিবারের কেউ তার সঙ্গে
দেখা করতে যেতে পারেন
না। তবে তিনি কারাগার
থেকে প্রতি সপ্তাহে পরিবারের সঙ্গে এবং মামলাসংক্রান্ত ব্যাপারে
আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে থাকেন।
২০২০
সালের ১২ জুলাই ভুয়া
করোনা সনদ দেওয়ার অভিযোগে
গ্রেপ্তার হন ডা, সাবরিনা।
এর আগে একই অভিযোগে
গ্রেপ্তার হন তার স্বামী
আরিফুল চৌধুরী। এ মামলায় সাবরিনাসহ
নয়জনের বিচার চলছে। এখন চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ।
সাবরিনার
আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রণব কান্তি ভৌমিক বলেন, আগামী ৮ ডিসেম্বর পরবর্তী
সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
ডা.
সাববিনার বিরুদ্ধে দ্বৈত ভোটার ও একাধিক জাতীয়
পরিচয়পত্র রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা
করে নির্বাচন কমিশন। এ মামলার তদন্ত
এখনো শেষ করতে পারেনি
পুলিশ।
২০২০
সালের ৩০ আগস্ট ডা.
সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি করে নির্বাচন কমিশনের
গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার
মোহাম্মদ মমিন মিয়া। মামলাটি
তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
তদন্ত
কর্মকর্তা ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন উদ্দিন বলেন,
‘এই মামলায় এখনো অভিযোগপত্র (চার্জশিট)
দেওয়া হয়নি। তবে দ্রুত অভিযোগপত্র
দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
ডা.
সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার
তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার
হন। তিনি প্রথমে ভোটার
হন সাবরিনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্মতারিখ দেওয়া হয় ১৯৭৮ সালের
২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২
ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার
করেন আর এইচ হক।
আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে
আরিফুল চৌধুরী।
এ
ব্যাপারে ডা. সাবরিনার আইনজীবী
অ্যাডভোকেট প্রণব কান্তি ভৌমিক বলেন, নির্বাচন কমিশনের করা মামলাটির তদন্ত
চলছে। তবে এই মামলায়
তার জামিন আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।
গত
বছর ২২ নভেম্বর ঢাকা
মহানগর দায়রা জজ কে এম
ইমরুল কায়েশ জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মামলায় ডা. সাবরিনার জামিন
মঞ্জুর করেন। তবে তিনি কারামুক্ত
হতে পারেননি। কারণ করোনাভাইরাসের নমুনা
পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায়
গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন
তিনি।
তার
আইনজীবী বলেন, ডা. সাবরিনাকে কারামুক্ত
হতে হলে এ মামলাতেও
জামিন পেতে হবে। এ
জন্য আইনি লড়াই চলছে।
সৌজণ্যে:
ঢাকা টাইমস