নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, নভেম্বর ২১, ২০২১
'যারা
দেশের মাটিতে খেলার মাঠে পাকিস্তানের জাতীয়
পতাকা ওড়াচ্ছে কিংবা যারা পাকিস্তানের জয়ে
আনন্দ প্রকাশ করছে তারা স্বাধীনতাবিরোধীদের
বংশধর। ওদের পূর্বপুরুষরা এ
দেশের স্বাধীনতা চায়নি। এদের চিহ্নিত করে
মূলোৎপাটন করতে হবে'।
আজ
শনিবার সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ডে শঙ্কর মঠ ও মিশনের
শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত যুব সম্মেলনে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ
এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী
আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন ধর্ম যার
যার এ দেশ সবার।
কিন্তু দুর্গা পূজায় দেশের ৮-১০টি মন্দিরে
হামলা হলো, বাড়ি ঘরে
হামলা চলো। সেই সাত
সমুদ্র দূরের লন্ডনে বসে এ হামলার
পরিকল্পনা করা হয়। চট্টগ্রামের
জেএম সেন হলের ব্যানার
ছেঁড়া হলো, আমি সাথে
সাথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে
এসে সেখানে ছুটে এসেছি। পীরগঞ্জে
বাড়ি ঘরে হামলা-ভাঙচুর
হলো আমি পরদিনই সেখানে
ছুটে গেছি। সরকার এসব হামলাকারীদের শক্ত
হাতে প্রতিরোধ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।
মন্ত্রী
বলেন, এ দেশে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই স্বাধীনভাবে বাস
করবে। এ লক্ষ নিয়েই
দেশ স্বাধীন হয়েছে।
বক্তব্যকালে
মন্ত্রী সীতাকুণ্ড মহাতীর্থের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, পাহাড়ের
তলদেশে এত সুন্দর প্রাকৃতিক
পরিবেশে এ তীর্থভূমি। কিন্তু
পাহাড়ের মন্দিরগুলো এত উঁচুতে যে
আমিও কখনো ওঠার সাহস
করিনি। অপেক্ষায় আছি পায়ে হেঁটে
আমি সেখানে যাব। আসলে এই
পাহাড়ে ক্যাবল কারের ব্যবস্থা করা গেলে বয়স্ক
তীর্থযাত্রীদের উপকার হতো। এজন্য আমি
ভারতীয় কয়েকজন বিনিয়োগকারীর সাথেও কথা বলেছি। এটি
করতে পারলে আমার ভালো লাগবে।
শঙ্কর
মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ
শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠান উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ স্বামী স্বরসতী গিরি মহারাজ। এতে
বিশেষ অতিথি ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল
মামুন। অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের
সভাপতি বিমল চন্দ্র নাথ,
পৌর কাউন্সিলর শফিউল আলম মুরাদ প্রমুখ।