যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি কার্যকরের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কী আশ্চর্য কথা—নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, আর ওই নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। আমেরিকা কি তাকে এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছেন? ভয় দেখানোর এজেন্সি দিয়েছে মির্জা ফখরুলকে।
কেরানীগঞ্জের জিনজিরা পুরোনো বাস স্ট্যান্ডে মঙ্গলবার এক 'শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে' এসব কথা বলেন তিনি। 'বিএনপি দেশজুড়ে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে' এ কর্মসূচি পালন করে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ।
আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কেউ মানে না উল্লেখ করে তিনি ভেনেজুয়েলা, গ্যাবন, সুদানে দেশটির নিষেধাজ্ঞার কথা বলেন। কিন্তু দেশগুলোও সেটি শোনেনি, এমনকি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও অনেক দেশ শুনে না।
নিষেধাজ্ঞায় শেখ হাসিনাকে থামানো যাবে না মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ী। একাত্তরে আমাদের হারাতে পারেনি, আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনাকে থামানো যাবে না। আমরা কারও নিষেধাজ্ঞা পরোয়া করি না।
বিএনপির জনসভায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কান্না প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বক্তৃতা করতে দাঁড়ালেই মির্জা ফখরুলের চোখে কেবল কান্না। কান্নায় কান্নায় বুক ভেসে যায়। কত মানুষকে কাঁদিয়েছেন আপনারা। কত মায়ের বুক খালি করেছেন, মানুষকে কাঁদিয়েছেন। এখন নিজেরা কাঁদেন।’
তিনি বলেন, ‘আরও কান্না আছে, কাঁদতে কাঁদতে বাংলাদেশ কান্নার দরিয়া হয়ে যাবে, তবুও আপনাদের ক্ষমা নেই। পিতৃহত্যা, মাতৃহত্যার প্রতিশোধ আমরা নেবো। বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, খুনিদের বিচার করেন নাই। আপনাদের ক্ষমা নেই। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না। ‘
বিএনপির ঢাকা দখলের হুঁশিয়ারির জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা শহর নাকি দখল করবে। আমরা প্রস্তুত আছি, ঢাকা শহর কারা দখল করে? আমরাও প্রস্তুত আছি কারা দখল করবে দেখা যাবে। ঢাকা দখল করবে লাল-সবুজের পতাকা। লাল-সবুজের পতাকা হাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ের মিছিল এই অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে চলবে।