ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

আয়মান সাদিকের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাওয়া কে এই মুনজেরিন?

সোস্যাল মিডিয়া | আপডেট: বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩

আয়মান সাদিকের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাওয়া কে এই মুনজেরিন?
বিয়ে করতে যাচ্ছেন দেশের সবচেয়ে বড় ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক এবং একই স্কুলের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মুনজেরিন শহীদ। 

শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজে তুমুল জনপ্রিয় দুই সেলিব্রিটির মধ্যে এতদিন প্রেমের যে গুঞ্জন ছিল অবশেষে তা সত্যি হচ্ছে। তাদের বিয়ের কার্ডের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল!

উভয়ের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর আয়মান-মুনজেরিনের বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত আয়মান সাদিক বা মুনজেরিন শহীদ বিয়ের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই কার্ডে দেখা যায়, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তায়েবুর রহমান ও শারমিন আক্তারের পুত্র আয়মান সাদিক এবং শহীদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও মনোয়ারা শহীদের কন্যা মুনজেরিন শহীদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার কথা রয়েছে।

নিকটতম বন্ধু-বান্ধবীরা দুজনের বিয়ের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রের ছবি দিয়ে আয়মান সাদিক ও মুনজেরিন শহীদকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভ কামনা জানিয়েছেন, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে।

মুনজেরিন শহীদ মূলত আলোচনায় আসেন ‘১০ মিনিট স্কুল’র একজন শিক্ষিকা হিসেবে। তিনি এই প্লাটফর্মে শিক্ষার্থীদের ইংরেজী শিখিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

মুনজেরিন শহীদের জন্ম চট্টগ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। এখন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শতভাগ বৃত্তি নিয়ে ইংরেজিতে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর করছেন।

ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে নিজের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মুনজেরিন শহীদ; ইংরেজি পড়াই, ইংরেজি শেখাই। প্রতিদিন ৩০ মিলিয়নেরও বেশি শিক্ষার্থী ইংরেজি শিখছে আমার ক্লাসগুলো থেকে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি শিক্ষার ওপর দ্বিতীয় মাস্টার্স শেষ করে এখন ইংরেজি শিক্ষাকে সবার জন্য সহজ করে তুলতে চাই। ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এছাড়াও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম  ‘১০ মিনিট স্কুল’র হেড অব এইচআর হিসেবে কাজ করছি।’

ইংরেজির প্রতি স্কুল থেকেই ঝোঁক ছিল জানিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুনজেরিন বলেন, ইংরেজির প্রতি ঝোঁক স্কুল থেকেই। তখন থেকেই ইংরেজি ভাষার গল্পের বই আমাকে টানত। সহপাঠীদের ইংরেজি শেখাতেও বেশ ভালো লাগতো। তবে কখনো স্টুডেন্ট পড়ানো হয়নি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করার পর বন্ধুরা অন্যদের ইংরেজি শেখানোর জন্য উৎসাহ দিতে লাগলো। এর ক’দিন পরেই শুরু হলো লকডাউন। তখন সব কিছু বন্ধ। কিছুটা হতাশায় ভুগছিলাম। এই হতাশা থেকে বের হওয়ার জন্যই কন্টেন্ট বানানো শুরু করি। এছাড়াও সব সময় দেখে এসেছি, ইংরেজি নিয়ে সবার মধ্যে ভীতি কাজ করে। ভাবলাম, এই ভীতিটা দূর করানোর জন্য কাজ করা যেতে পারে। এরপরেই শুরু করলাম সহজভাবে ইংরেজি শেখানো।

ভবিষ্যতেও মুনজেরিনকে শিক্ষকতার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে দেখা যাবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অবশ্যই। ভবিষ্যতেও ইংরেজি শেখাবো। ইতোমধ্যে আমার ২টি কোর্সে লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ক্লাস করেছে। তাছাড়া আরও দুটি কোর্স চলছে, স্পোকেন ইংলিশ ফর কিডস ও আইইএলটিএস কোর্স। এছাড়া ঘরে বসে স্পোকেন ইংলিশ ও সবার জন্য ভোকাবোলারি নামে আরও দুটি বই আছে। এর বাইরেও আইইএলটিএস নিয়ে বই বের করতে চাই। ছোটদের জন্য বই বের করতে চাই। ইংরেজি গ্রামার নিয়ে বই বের করতে চাই। সবই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে।