দেশে পর্যাপ্ত আলু মজুদ থাকার পরও কৃত্রিমভাবে আলুর বাজারে সংকট দেখিয়ে দাম বেশি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তার অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কোল্ড স্টোরেজ ব্যবসায়ী এবং এফবিসিসিআইএর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এক কথা বলেন।
সভায় কোল্ড স্টোরেজ ব্যবসায়ী এবং এফবিসিসিআই পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘কোল্ড স্টোরেজে রাখা আলু ১৩/১৪ টাকায় কিনে এখন যে দরে বিক্রি হচ্ছে সেটা অস্বভাবিক। সরকারকে বিব্রত করতে সুযোগ নিচ্ছে কারসাজির হোতারা। কিছু ব্যবসায়ী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দাম বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেন কেউ কেউ।
তবে, শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বন্যা-বর্ষার কারণে দাম বেড়েছে। অন্য শাকসবজির দাম বেশি হওয়ার আলু’র ওপর এর প্রভাব পড়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ১৫ জেলায় কোল্ড স্টোরেজের মজুদ মনিটরিং করবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আলুর দর নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বুধবার থেকে সমন্বিত মনিটরিং জোরদার করা হবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত আলুর মজুদ পর্যাপ্ত; মনিটরিং জোরদার হলে সাতদিনের মধ্যে আলুর দাম ৩৫ টাকায় নেমে আসবে, আশা ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের।
সভায় আলুর স্টোরেজ মালিক, পাইকারি ব্যবসায়ী, আড়তদার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।