রাজধানীর অসহনীয় যানজট থেকে রেহাই পাওয়ার আরও একটি দ্বার খুলল। অপেক্ষার পালা শেষ করে রোববার ভোর ৬টায় সর্বসাধারণের জন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উন্মুক্ত করা হয়। মেট্রোরেলের পর উদ্বোধন হওয়া এটি দ্বিতীয় প্রকল্প, যা ব্যবহার করে যানজট এড়িয়ে স্বস্তিতে গন্তব্যে যেতে পারবেন নগরবাসী।
এর আগে শনিবার বেলা ৩টা ৪২ মিনিটে রাজধানীর বিমানবন্দরসংলগ্ন কাওলা প্রান্তে ফলক উন্মোচন করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাত্রী হিসাবেই তিনি প্রথম এই উড়াল মহাসড়কে ওঠেন। কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজায় বহরে থাকা ২৫টি গাড়ির জন্য ৮০ টাকা হারে দুই হাজার টাকা টোল পরিশোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানা এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, উড়াল মহাসড়কটি প্রথম ধাপে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত চালু হলো। তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত বাকি অংশ আগামী বছরের জুনে চালু করার লক্ষ্য ঠিক করছে সরকার। দ্রুতগতির এই উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে।
পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন উঠানামা (র্যাম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে। র্যাম্পসহ উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। উড়ালসড়কে ১১টি টোল প্লাজা থাকছে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ হলে উড়াল সড়কের পূর্ণ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা।