বৈশ্বিক মন্দায় সমুদ্রে কনটেইনারে পণ্যপরিবহন ভাড়া ৭৫ শতাংশ এবং জাহাজ ভাড়া ৫০ শতাংশ কমলেও এর সুফল নেই দেশের বাজারে। জাহাজ ভাড়া একটু বাড়লেই চারদিকে হৈচৈ ফেলে দেওয়া ব্যবসায়ীরাও নীরব। বিজিএমইএ’র দাবি ক্রয়াদেশ কমায় জাহাজ ভাড়া কমলেও এর কোনোন প্রভাব নেই বাণিজ্যে। তবে শিপিং এজেন্টরা বলছেন, আমদানি-রপ্তানি খরচ কমার প্রভাব দেশের বাজারে পড়া স্বাভাবিক।
বিশ্বমন্দার ফলে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের জাহাজ ভাড়ায় সম্প্রতি ধস নেমেছে। কাঙ্ক্ষিত পণ্য না পাওয়ায় প্রতিদিনই জাহাজ ভাড়ার পাশাপাশি কনটেইনার পরিবহন খরচ কমছে। আগে যেখানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ ফুট কনটেইনারের ভাড়া ছিল ২০ হাজার এবং ইউরোপে ১৬ হাজার ডলার। ৭৫ শতাংশ কমে এখন হয়েছে ৪ হাজার ডলার। একইসাথে জাহাজ ভাড়াও কমেছে ৫০ শতাংশ।
দেশের আমদানি পণ্যের ৯২ শতাংশ আর রফতানির ৯৮ শতাংশই সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। কনটেইনার পরিবহন ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সাধারণত জাহাজ কিংবা কনটেইনারের ভাড়া বাড়লে দেশে পণ্যের দাম বাড়ে লাগামহীনভাবে। কিন্তু এখন জাহাজ ও কনটেইনার ভাড়া কম হলেও পণ্যের দামে নেই কোনো প্রভাব।
একই চিত্র রফতানি খাতের প্রধান উপকরণ গার্মেন্টস শিল্পেও। ক্রয়আদেশ কমে যাওয়ায় জাহাজ ভাড়া কমার সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি বিজিএমই ‘র।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে পণ্যবাহী জাহাজ এবং কনটেইনারের চাহিদাও কমেছে। ফলে বাধ্য হয়েই সব রুটে ভাড়া কমেছে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
কনটেইনার পরিবহন ও জাহাজ ভাড়া কমলেও পণ্যের দাম কেন কমছে না? প্রশ্ন ভোক্তাদের।